একটা মেথডের গল্প

[ যারা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং এ কমপক্ষে থিওরি পরছেন তারাই পড়ে বুঝবেন, অন্যরা নাও পড়তে পারেন।কারণ বাদ-বাকিদের মাথার উপর দিয়ে যাবে।এটা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কনসেপ্টের সংমিশ্রনে লিখা। ভুল ধরিয়ে কেউ লজ্জা দিবেন না। ] 

প্রোগ্রামার একটা মেথড ডিক্লেয়ার করল। কিন্তু মেথডের এক্সেস এস্পেসিফায়ার নিয়ে প্রব্লেমে পড়ল। প্রোগ্রামার কোড করে যেতে লাগলো কিন্তু মেথডের কথা ভুলে গেল। 
অন্য কোডাররা এই কোড নিয়ে কাজ করা শুরু করল। সবাই কোড কম্পাইল করতে গিয়ে এরর পেল। তাই কাজের সুবিধার জন্য মেথডকে প্রটেক্টেড হিসেবে ডিক্লেয়ার করল। সবাই কোডিং চালিয়ে গেল। হঠাৎ একটা মেথডে এক্সেস হচ্ছে না দেখে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ল। তাই সবাই তৎক্ষণাৎ ঐ মেথডকে প্রাইভেট থেকে পাবলিক করে দিল।পাবলিক মেথডের এক্সেস পাওয়ায় এক্সেসের প্রব্লেম সলভ হল। কিন্তু প্রোগ্রাম কে এফিশিয়েন্ট করার জন্য ঐ মেথড কে আবার অ্যাবসট্র্যাক্ট হিসেবে ডিক্লেয়ার করে দিল। মেথড পাবলিকই রয়ে গেল।

আবার আরেক কোডার আসলো এবং বলল যে কোডে প্রব্লেম আছে। এই মেথড পাবলিক হলে সমস্যা। সবাই তো আর এক্সেস করছে না। তাই একে প্রাইভেট বানিয়ে দাও।

মেথড এভাবে কোডারদের মন মানসিকতায় বার বার হয়ত পরিবর্তন হবে। এই মেথডের লাইফ সাইকেল আর শেষ হয় না। অনেক প্রোগ্রামার এই মেথড ইউজ করবে বিভিন্ন এক্সেস মোডে। প্রোগ্রাম শেষ হলেও অন্য নতুন কোড আবার এই মেথড কে ইনহেরিট করে ,কোড আরও এফিশিয়েন্ট করার জন্য। এই ইনহেরিটেন্স চলতেই থাকে.....কলিং চলতেই থাকে......
মেথডের দুঃখ প্রথম প্রোগ্রামার যদি শুরুতেই তাকে ফাইনাল কি-ওয়ার্ড দিয়ে ফাইনাল করে দিত!!!!!!! মেথডের কিছুই করার নাই। ভ্যালু রিটার্ন বা কলিং এ ইনভোক হওয়া ছাড়া।

মেথড অপেক্ষায় আছে মেইন ফাংশনের কলিং এর অপেক্ষায়!!!!!! অপেক্ষায় আছে তার আগে ফাইনাল কি-ওয়ার্ডের!!!!!

©মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল

Comments

Popular posts from this blog

Lunatic!!!

একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ সব কিন্তু কুরআনে সরাসরি পাবেন না

Quran (42:50) কি বলে?