Posts

Showing posts from 2019

জীবনের হিসেব নিকেশ

আমাদের চিন্তাধারা জগতে আমরা খুব কমই থাকতে পারি হোক সেটা বেশিরভাগের চোখে ইতিবাচক না নেতিবাচক। আমরা সমাজে বসবাসকারী বেশিরভাগই যা করি আসলে, কেন করি? কাদের জন্য করি? করে কি হবে? সেটা জানি না। সবাই করে এবং করার জন্য করা তাই করি। অনেকেই বলবে ভুল লিখলাম। তারা জানে যে কি করছে কেন করছে এবং কাজের ফলাফল কি সেটা। ভুল। সে ভুল জানে। এবং তার জানা যে ভুল সেটাও সে জানে না। অনেকেই আছে যারা অবশ্য এই তত্ত্বের বাহিরে। তারা সঠিক ভাবে জানে,বুঝে, এবং করে তারা যারা করছে। বেশির ভাগই এই আবছা ধোঁয়াশার মধ্যে করে করে জীবন পার করে ফেলে। এবং মজার ব্যপার হচ্ছে করতে করতে তারা জীবনের একটা না একটা লক্ষ্যে পৌঁছেই যায়। তবে যায় যে কারণে সেটা হচ্ছে তার লেগে থাকার জন্য বুঝক বা না বুঝক, করার জন্য হলেও করে যাবার জন্য। চেষ্টা চালিয়ে লেগে থাকার জন্য। সবাই লেগে থাকতে পারে না। যারা পেরে যায় জীবন তাদেরকেই পুরস্কৃত করে।(তাদের খাটো করছি না কাউকেই) “Hard work beats talent when talent doesn’t work hard.” – Tim Notke আসলে সফলতা বলতে কিছু কি আদৌ আছে? সেটা পুঞ্জীভূত চেষ্টা এবং নিরলস পরিশ্রম বৈ কিছু না। অথবা আরেকটু ভেঙ্গে বললে অন্য...

জীবন সুন্দর

মুভি গুলা কত ভালো। সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ঘন্টা থেকে সর্বনিম্ন দেড় ঘন্টার মধ্যে পুরো গল্প বলা যায়। কোনটার হ্যাপি এন্ডিং তো কোনটার স্যাড। কোনটায় মিস্ট্রি তো কোনটায় কনফিউসিং ওপেন এন্ডিং। হরেক রকম জন্ররার হরেক রকম প্রেজেন্টেশন থাকে মুভিগুলার। কোন মুভির মধ্যে বা এন্ডিং ভালো না লাগলে ঐ জন্রার অন্য মুভি সিলেক্ট করে দেখা যায় বা অন্য জন্রায়ও সিফট করা যায়। কোন সমস্যাই নাই মুভিতে। মাথা ন্যাড়া হয়ে গেলে কয়েক সিন পরেই আবার মাথা ভর্তি চুলের ক্যারেক্টার দেখা যায়। ঠেলাগাড়ী ঠেলে ঠেলে লটারি পাওয়া যায়। কয়েক সিনের মধ্যেই গ্র্যাজুয়েশন শেষ হয়ে যায়। হারতে হারতে ম্যাচ জিতে যায়। শেষ সিনে অল্প অল্প করে এগুতে থাকা পুরা গল্পই শেষ হয় ঠিক যেভাবে পরিচালক চায় সেভাবেই। কিন্তু জীবন তো মুভি না। ছায়াছবির মতই ছায়াময় এই ছবির গল্প গুলা আমাদের মোহে আচ্ছন্ন করতে যথেষ্ট। কল্পনার জগতেই তারা সুন্দর কিন্তু বাস্তবতা এই রূপালী পর্দাকে হার মানায়। রূপালী পর্দার গল্প তৈরিই হয় বাস্তবতাকে অবলম্বন করে অথবা কি রকম হতে পারে তা কল্পনা করে। আর ফ্যান্টাসি বা অবাস্তব গল্পের দিকে আর গেলামই না। আমাদের জীবন অনেক লম্বা আবার অনেক ছোট কিন্তু অনেক গুলো...

Interim Period

No matter how talented you are, battles you won or enemies you destroy and praises you achieve, the only thing that matters at all is becoming a better individual. If you are not, it's nothing but pity for you. There will not be someone always to clean up your mess. You won't be lucky all the time. Sometimes we have to surrender on any terms of knowing our limitations. Our hands are too short to box with The Almighty. "The past is already written and the ink is dry". The nefarious scholar is always discarded. This world is too short for us. We live in a world that is enlightened by the sun 1.3 million bigger than our world. We can put 1.3 million earth inside the sun. So who the heck we are? There is the only thing that generates resentment and makes us suffer in the long run. And that is nothing but arrogance. Some arrogant punk thought they are the best in the world, but the thing they missed is that they cannot shine in life or make any good thing for good. May...

কথা

মানুষের জীবনে যে বিষয়টা গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে সেটা হচ্ছে 'কথা'। এই কথার শক্তি অনেক বেশি, ধার অনেক বেশি। কচ কচ করে কেটে ফেলে, ঝাঁজরা করে ফেলে, দাগ বসিয়ে দেয়। এই কথাই আমাদের আকাশ ফুঁড়ে মহাকাশে উঠায়, মাটি ফেড়ে পাতালে নামায়। কথা আমাদের উড়ায়, ডুবায়, ভাসায়, পেটায়, প্রশমন ঘটায়। কথা উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়, নিচের থেকে টেনে উপরে উঠায়। কথার মাঝে মোহ থাকে; কথার ইন্দ্রজালে মোহাচ্ছন করে রাখে। কথার মধ্যে মায়া আছে, আটকে রাখে। কথার মধ্যে দড়ি আছে, শক্ত করে বেঁধে রাখে। কথা জেতায়, কথা হারায়। কথা বাঁচায়, কথায় সব শেষ হয়ে যায়। কথায় জয় হয়, কথায় ক্ষয়। যে কথা আমরা বেছে নেই সেটাই আমাদের পথের পাথেয় হয়। কথা দিয়ে কথা রাখতে হয় আবার রাখাতে পারা যায়না। একটি প্রচলিত বাক্য রয়েছে, ''কথা বলা শিখতে একজন মানুষের দুই বছর সময় লাগে, কিন্তু কি বলা উচিত নয় এবং কোথায় কি বলতে হবে তা জানতে লাগে সারাজীবন।'' আমাদের বলা কথার মাধ্যমে আমাদের দেয়া কথার মাধ্যমেই আমরা বেঁচে থাকি। আমরা নিজেরা নিজেকে অনেক অল্প পরিসরে দেখি। "The closer you look the less you see." নিজের পরিসর নিজে খুঁজ...

মানব কার্নেল

আপডেট আর আপগ্রেড। অপারেটিং সিস্টেমের জন্য দুটো শব্দের সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত। মানুষের জন্য মেটেফরিকভাবে বলতে গেলে আমি আপডেট আর আপগ্রেড শব্দ নিয়ে প্রায়ই কনফিউজড হয়ে যাই। এমন খুব কমই হয় যে পাঁচ বছর আগে পিসিতে উইন্ডোজ দেখে গেছেন এখন এসে দেখেন যে ঐ একই পিসি তে ম্যাক চলতেসে। হয় না যে তা না। হতে পারে। ইউজারের টেস্ট বদলে গেসে এখন লিনাক্স ও চলতে পারে, অথবা তার কাজের রিকোয়ারমেন্টের জন্য চেঞ্জ করা লাগসে।অথবা নতুন পিসিও দেখা যেতে পারে। মানুষ কারণে অকারণে কার্নেল বদলে ফেলতে পারে। প্রয়াত মুনীর চৌধুরী রক্তাক্ত প্রান্তরে লিখেছিলেন,"মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়, সকালে বিকালে বদলায়"। মানুষের ক্ষেত্রে তো মানুষ নিজের কার্নেলই বদলে ফেলতে পারে।মানুষের দেহ একটাই থাকে মৃত্যু পর্যন্ত। ভেতরের সব পরিবর্তন হয় আমাদের মন-মানসিকতায়।তার প্রতিফলন হয় আমাদের চলা- ফেয়ায়,কথা-বার্তায়,আচার-আচরণে,জীবন যাপনে। মানুষের কার্নেল যার চেঞ্জ হয় সেটা লিনিয়ার ইকুয়েশনে চেঞ্জ হয় না। যার হয় তাদের কারো এক্সপোনেনসিয়াল হারে হয়, কারো লগারিদমিক গ্রোথে হয়। অসীমতট বাউন্ডে হয়। আর যার হয়...

জীবন ক্যানভাস

আমাদের জীবনকে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে একটা মেটাফরিকাল গল্প আমার বলতে খুব ভালো লাগে। জীবনটা দৈর্ঘ্য-প্রস্থর ছবি আঁকার সাদা ক্যানভাসের মত। আমরা এর মেজারমেন্ট টা জানি না। আমরা ক্যানভাসের হাতের বাম দিকের একেবারে শেষ (০,০) পজিশন থেকে ছবি আঁকা বা রঙতুলি দিয়ে রঙ করা শুরু করি। বিধাতা আমাদের কে বিভিন্ন রকমের রঙের কালেকশন দিয়েছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো আমরা নিজেরদের রঙ দিয়ে কেউ নিজেদের ক্যানভাসে রঙ করতে পারবো না। সবসময় এই রঙগুলো অন্য কারো ক্যানভাসে রঙের জন্য। এইরকমভাবে সবাই অন্যদেরটা রঙ করলে সবার ক্যানভাস ই রঙিন হবার কথা। নিজের ক্যানভাসে তুলির আঁচড় দিতে হলে অন্যের থেকে পাওয়া রঙতুলির আঁচড়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে। কেউ সরাসরি রঙ করে, কেউ পেন্সিলের আউটলাইন করে তাতে রঙ ব্যবহার করে। কারো ক্যানভাস সাদাকালোই রয়ে যায়। কারো একেবারেই সাদা। কারো বাহারি ডিজাইন, কারো বাহারি রঙের সমাহার। এই নিজের ক্যানভাসকে রঙ এ রঙিন করতে করতে কেউ কেউ জীবনের প্রস্থ পর্যন্ত চলে যায়। তখন জীবনের দৈর্ঘ্য বরাবর সে আঁকতে থাকে। ক্যানভাসের পঁটে ছবি আমার কিন্ত তুলির আঁচড় অন্যের! ব্যাপারটা এমনি দাঁড়ায় যে, অন্যে আপনার ক্যানভাস রঙ ক...

কাল্পনিক মন প্রকৌশল

আমরা প্রায়ই 'মন' এর' অবস্থান নিয়ে গুলিয়ে ফেলি। কোথায় তার আবাসন? হৃদপিণ্ডে? নাকি মস্তিষ্কে? আবাসন বিতর্কে যাবো না। নানান মুনির নানা মত। আমাদের চিন্তা-ধারা, প্রস্তাবিত এবং চলমান কর্মকাণ্ডই আমাদের মনের প্রতিফলক। “A mind not to be changed by place or time. The mind is its own place, and in itself can make a heav'n of hell, a hell of heav'n.” ― John Milton, Paradise Lost আমাদের মনকে একটা ইট,রড, বালু,সিমেন্টের কাঠামো হিসেবে দাঁড় করানো যায়। হিলবার্টের ইনফিনিটি হোটেল প্যারাডক্সের  প্রপার্টি এই কাঠামো ফলো করে। মনের অনেকগুলো কক্ষ থাকে। দরজা ছাড়া বা তালা বদ্ধ । চাবি গুলো আমাদের কাছে থাকে। নতুন কক্ষ তৈরি করতে থাকি প্রতিনিয়ত। আমরা চাবি অনেক সময় ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হারিয়ে ফেলি। অথবা পুরাতন কক্ষকে নতুন আঙ্গিকে সাজাই বা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেই। চাবি হারিয়ে ফেলা মানে এই না যে কক্ষ মুছে গেল। তবে চাবি হারিয়ে গেছে মানে ঐ কক্ষে নিজের আর প্রবেশাধিকার নেই। পুনরায় ঐ কক্ষে যেতে গেলে হয় চাবি নিয়ে আসো নয়ত ঐরকম আরেকটা বানিয়ে ফেলো। ঠিক যেমন সিম কার্ড হারিয়ে গেলে হয় নতুন সিম ওঠানো হয় ঐ নাম্বার...

বেবী-আগুন আর মা-আগুন

বেবী-আগুন আর মা-আগুন এর মধ্যে কথোপকথনঃ :- আচ্ছা মা আমি আগুন কেন? :- আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা আগুন হিসেবে বানিয়েছেন। তোমার বোন, বাবা, ভাই তারাও তো আগুন। :- আমাকে এতো গরম করে বানিয়েছেন কেন? আমাকে দিয়ে সবার অনেক ক্ষতি হয়। তারপরও আমাকে কেন সৃষ্টিকর্তা আগুন হিসেবে বানিয়েছেন? :- না বেবী, রাগ করো না। কই এই যে দেখো তোমার বোনকে, তাকে দিয়ে চুলায় রান্না করা হয়। তোমার বাবাকেই বা দেখো, সূর্যের গায়ে থেকে থেকে সবাইকে আলো দিয়ে বেড়াচ্ছে। আর বাবাকে বেঁচে থাকতে হলে তো একটু শ্বাস নিতেই হবে, তাই না বেবী. তাই একটু আধটু গরম তো লাগবেই। :- কিন্তু তারপরও মানুষ আমাকে ভালোবাসে না। সবাই দূরে থাকে কেন? এই যে ম্যাচ এর কাঠি বা গ্যাস-লাইটার জ্বালানোর পর আমি সবাইকে দেখতে না দেখতে আবার আমাকে নিভিয়ে ফেলে। আমি কখনোই পুরোটা সময় থাকি না। :- আরে এই যে তোমার ভাইকে দেখো। সে মোমবাতিতে থাকে। শীতকালে সবাই আমাদের কাছে আসে। আমাদের থেকে আলো পায়, তাদের শরীরটা গরম করে। আর কারেন্ট চলে গেলে যখন টর্চ/মোবাইল না পায় তখন তো ম্যাচ এর কাঠিতে/লাইটারে তোমাকে খুঁজে নেয় বেবী। :- কিন্তু আমি যে স্পষ্ট শুনলাম। বাসার বাচ্চাটা আমাকে ম্যাচ দ...