কাল্পনিক মন প্রকৌশল
আমরা প্রায়ই 'মন' এর' অবস্থান নিয়ে গুলিয়ে ফেলি। কোথায় তার আবাসন? হৃদপিণ্ডে? নাকি মস্তিষ্কে? আবাসন বিতর্কে যাবো না। নানান মুনির নানা মত। আমাদের চিন্তা-ধারা, প্রস্তাবিত এবং চলমান কর্মকাণ্ডই আমাদের মনের প্রতিফলক।
আমাদের মনকে একটা ইট,রড, বালু,সিমেন্টের কাঠামো হিসেবে দাঁড় করানো যায়। হিলবার্টের ইনফিনিটি হোটেল প্যারাডক্সের প্রপার্টি এই কাঠামো ফলো করে। মনের অনেকগুলো কক্ষ থাকে। দরজা ছাড়া বা তালা বদ্ধ । চাবি গুলো আমাদের কাছে থাকে। নতুন কক্ষ তৈরি করতে থাকি প্রতিনিয়ত। আমরা চাবি অনেক সময় ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হারিয়ে ফেলি। অথবা পুরাতন কক্ষকে নতুন আঙ্গিকে সাজাই বা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেই।
চাবি হারিয়ে ফেলা মানে এই না যে কক্ষ মুছে গেল। তবে চাবি হারিয়ে গেছে মানে ঐ কক্ষে নিজের আর প্রবেশাধিকার নেই। পুনরায় ঐ কক্ষে যেতে গেলে হয় চাবি নিয়ে আসো নয়ত ঐরকম আরেকটা বানিয়ে ফেলো। ঠিক যেমন সিম কার্ড হারিয়ে গেলে হয় নতুন সিম ওঠানো হয় ঐ নাম্বারেরই অথবা নতুন একটা নাম্বারের সিম কিনে নেয়ার মতই।
আমাদের মনের এই কাঠামো শক্তির নিত্যতার সুত্র মেনে চলে এক দিক দিয়ে যে, মনের এই কাঠামোর ইট সংখ্যা হয়ত অসীম, কিন্তু নতুন কোন ইট তৈরি করা বা আনা যায় না। “সীমার মাঝেই অসীম ” ইট দিয়েই বানাতে হয়। তাই হয় আগের কক্ষ ভেঙ্গে সেখানে নতুন করে বানাও, নাহলে বাদ দাও সেটা সেভাবেই থাকুক, নতুন করে আরেকটা বানাও।
এই কাঠামো তৈরি করতে অনেকের থেকে সাহায্য নেই। কেউ কৌশল বলে দেয়, কেউ উপকরণ সরবরাহ করে, কেউ ভেঙ্গে দেবার চেষ্টা করে, কেউ রক্ষা করার পথ দেখায় ব্লা ব্লা ব্লা...... বিভিন্ন ভাবে সবাই যুক্ত এই কাঠামোর সাথে। মনের এই কক্ষ গুলো কে বাড়াতে যারা সাহায্য করেছেন,যারা এখনো করে যাচ্ছেন, এক সময় করেছিলেন, সামনে করবেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সাহায্য নিয়েই কিছু বেশি (ইনফিনিটি ফ্যাক্ট!) সংখ্যক কক্ষগুলো করা। চাবি গুলোর খোঁজ রাখা/হারানো এবং দরজা দেয়া/না দেয়াই সবচেয়ে চ্যালেনজিং এই কাঠামোর ভারসাম্য রাখতে।
এই কাঠামো পদার্থ বিজ্ঞানের এবং আপেক্ষিকতার সব সুত্র মেনে চলে না। নিজের তৈরি করা সুত্রেই একে চালাতে হয়। আমি বিশেষ ভাবে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই যারা তাদের “সীমার মাঝে অসীম ” ইটগুলো দিয়ে সাহায্য করেছেন। আমি একাধারে অল্প অল্প খুশির ইন্টিগ্রেশনে এবং বড় খুশির ডিফারেন্সিয়েশনে বিশ্বাসী। কিভাবে কি রকম সেটা এই মতবাদে অভিন্ন থাকলেও ঘটনা প্রেক্ষিতে বাছাই প্রক্রিয়াটা বিভিন্ন হয়ে থাকে ।
#MIKParadox
“A mind not to be changed by place or time. The mind is its own place, and in itself can make a heav'n of hell, a hell of heav'n.” ― John Milton, Paradise Lost
আমাদের মনকে একটা ইট,রড, বালু,সিমেন্টের কাঠামো হিসেবে দাঁড় করানো যায়। হিলবার্টের ইনফিনিটি হোটেল প্যারাডক্সের প্রপার্টি এই কাঠামো ফলো করে। মনের অনেকগুলো কক্ষ থাকে। দরজা ছাড়া বা তালা বদ্ধ । চাবি গুলো আমাদের কাছে থাকে। নতুন কক্ষ তৈরি করতে থাকি প্রতিনিয়ত। আমরা চাবি অনেক সময় ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হারিয়ে ফেলি। অথবা পুরাতন কক্ষকে নতুন আঙ্গিকে সাজাই বা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেই।
চাবি হারিয়ে ফেলা মানে এই না যে কক্ষ মুছে গেল। তবে চাবি হারিয়ে গেছে মানে ঐ কক্ষে নিজের আর প্রবেশাধিকার নেই। পুনরায় ঐ কক্ষে যেতে গেলে হয় চাবি নিয়ে আসো নয়ত ঐরকম আরেকটা বানিয়ে ফেলো। ঠিক যেমন সিম কার্ড হারিয়ে গেলে হয় নতুন সিম ওঠানো হয় ঐ নাম্বারেরই অথবা নতুন একটা নাম্বারের সিম কিনে নেয়ার মতই।
আমাদের মনের এই কাঠামো শক্তির নিত্যতার সুত্র মেনে চলে এক দিক দিয়ে যে, মনের এই কাঠামোর ইট সংখ্যা হয়ত অসীম, কিন্তু নতুন কোন ইট তৈরি করা বা আনা যায় না। “সীমার মাঝেই অসীম ” ইট দিয়েই বানাতে হয়। তাই হয় আগের কক্ষ ভেঙ্গে সেখানে নতুন করে বানাও, নাহলে বাদ দাও সেটা সেভাবেই থাকুক, নতুন করে আরেকটা বানাও।
এই কাঠামো তৈরি করতে অনেকের থেকে সাহায্য নেই। কেউ কৌশল বলে দেয়, কেউ উপকরণ সরবরাহ করে, কেউ ভেঙ্গে দেবার চেষ্টা করে, কেউ রক্ষা করার পথ দেখায় ব্লা ব্লা ব্লা...... বিভিন্ন ভাবে সবাই যুক্ত এই কাঠামোর সাথে। মনের এই কক্ষ গুলো কে বাড়াতে যারা সাহায্য করেছেন,যারা এখনো করে যাচ্ছেন, এক সময় করেছিলেন, সামনে করবেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সাহায্য নিয়েই কিছু বেশি (ইনফিনিটি ফ্যাক্ট!) সংখ্যক কক্ষগুলো করা। চাবি গুলোর খোঁজ রাখা/হারানো এবং দরজা দেয়া/না দেয়াই সবচেয়ে চ্যালেনজিং এই কাঠামোর ভারসাম্য রাখতে।
এই কাঠামো পদার্থ বিজ্ঞানের এবং আপেক্ষিকতার সব সুত্র মেনে চলে না। নিজের তৈরি করা সুত্রেই একে চালাতে হয়। আমি বিশেষ ভাবে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই যারা তাদের “সীমার মাঝে অসীম ” ইটগুলো দিয়ে সাহায্য করেছেন। আমি একাধারে অল্প অল্প খুশির ইন্টিগ্রেশনে এবং বড় খুশির ডিফারেন্সিয়েশনে বিশ্বাসী। কিভাবে কি রকম সেটা এই মতবাদে অভিন্ন থাকলেও ঘটনা প্রেক্ষিতে বাছাই প্রক্রিয়াটা বিভিন্ন হয়ে থাকে ।
“Be yourself; everyone else is already taken.” ― Oscar Wilde
#MIKParadox
Comments
Post a Comment