ক্যান্সার vs ডায়বেটিস
পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগ হল ক্যান্সার। ঠিক সময়ে ধরতে না পারলে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল শেষ পরিণতি। চোখের সামনে ভালো মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। স্বাস্থ্য ভেঙ্গে যায়।কেমো দিলে তো শরীরের অবস্থা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়। দেখলে নিজেরই খারাপ লাগে। তবে আমার মনে হয় ক্যান্সার রোগটাই ভালো। আমার কথায় আহত হওয়ার আগে আমার বাকী কথা পড়ে নিয়েন।নিজের পক্ষে না রোগীর পক্ষে একবার চিন্তা করে দেখি যে কষ্ট কার বেশি আর কে ভোগ করে।
ক্যান্সার রোগের কোন অ্যাান্সার নাই।পানির মত টাকা খরচ হয়। অন্তত যার ক্যান্সার সে কষ্ট পেয়ে একটা পর্যায়ে মারা যায়।
কিন্ত ডায়বেটিস রোগটা অনেক খারাপ। টাকা পানির মত খরচ হয় না,তবে চোখের পানির মত খরচ হয়। মাঝে মাঝে। সারাজীবন ধরে এই রোগ বয়ে বেড়াতে হয়। কারো তরুণ বয়সে ধরা পড়ে কারো বা আরও পরে। অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। যে আগে ২ প্লেট ভাত খেতো তাকে এক কাপ ভাত খেতে বলে। যেই বাবা ছেলেমেয়েদের জন্য মিষ্টি নিয়ে আসত সে এখনো আনে। তার সামনে সন্তানরা মজা করে খায় সে খেতে পারে না। যে মা সন্তানদের প্রতিদিন সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত চা বানিয়ে খাওয়াতো সে চা খায় চিনি ছাড়া। খেতে তিতা লাগে তাও খায়। সবার জন্য পাতিল ভরে ভাত-তরকারি রান্না করে কিন্ত নিজে খায় মেপে অল্প করে। বাহিরে গেলে তো আর এতো নিয়ম মানা যায় না। বা সন্তানদের খুশির উপলক্ষে ডায়বেটিস কে ছুটি দিয়ে একটু বেশি মিষ্টি খেলেই সুগার আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে যায়। ১২ থেকে ১৮-২১ এক লাফে।
ডাক্তার পরীক্ষা করার জন্য মেশিন দেয়। যেই তনয়া সব সময় সুঁই ভয় পেতো তার এখন সপ্তাহেই একবার করে আঙ্গুলে সুঁই দিয়ে ফুটো করে রক্তের সুগার মাপতে হয়। আর আউট অফ কন্ট্রোলে গেলে তো কথাই নাই। ডাক্তার নিষ্ঠুরের মত ইন্সুলিন দিয়ে দেয়। ৪০ দিনের ডোজ আর ৫টা চিকন সুঁই। বাঁচতে হলে সুঁই দিতে হবে। আর যাদের ভাগ্য বেশি খারাপ তাদের তো বাকী জীবন দিয়েই যেতে হবে।একটু কোথাও বটী দিয়ে কাটতে গিয়ে অল্প কেটে গেছে,রক্ত বন্ধ হওয়ার নাম নেই। কোথাও অল্প একটু ব্যাথা পেলে তা বহুগুনে বারিয়ে দেয় এই ডায়বেটিস। বার বার পানি পিপাসা পায়। পানি খেলেও তৃষ্ণা মিটে না। আর ডায়বেটিস একা আসে না। সাথে নিয়ে আসে হাই/লো ব্লাড প্রেশার আর হাইপার টেনশন এর মত কিছু রোগ।
ক্যান্সার রোগীর একদিনের মৃত্যুতে অনেকদিনের কষ্টের অবসান হয়।
ডায়বেটিসের রোগীরা প্রতিদিন মরে মরে বেঁচে থাকে,আবার বারবার মরে।
তাও তারা বলে আল্লাহ্ বেঁচে আছি আলহামদুলিল্লাহ্।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ডায়বেটিস থেকে দূরে রাখুক।আর যাদের আছে তাদের শান্তিতে বাঁচতে দিক এই দোয়া করি।
[বি.দ্রঃ ডায়বেটিসের একটাই ভালো দিক ক্যান্সার থেকে যে, ইট হ্যাস অ্যাান্সার।রোগী কষ্ট পায় কিন্তু আল্লাহ্ এর রহমতে বেঁচে থাকে। তাই ক্যান্সার এ মৃত্যুর চেয়ে এই ডায়বেটিসে বেঁচে থাকা ভালো না?? অন্তত বেঁচে তো আছে,হোক না কষ্টে!!! ]
ক্যান্সার রোগের কোন অ্যাান্সার নাই।পানির মত টাকা খরচ হয়। অন্তত যার ক্যান্সার সে কষ্ট পেয়ে একটা পর্যায়ে মারা যায়।
কিন্ত ডায়বেটিস রোগটা অনেক খারাপ। টাকা পানির মত খরচ হয় না,তবে চোখের পানির মত খরচ হয়। মাঝে মাঝে। সারাজীবন ধরে এই রোগ বয়ে বেড়াতে হয়। কারো তরুণ বয়সে ধরা পড়ে কারো বা আরও পরে। অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। যে আগে ২ প্লেট ভাত খেতো তাকে এক কাপ ভাত খেতে বলে। যেই বাবা ছেলেমেয়েদের জন্য মিষ্টি নিয়ে আসত সে এখনো আনে। তার সামনে সন্তানরা মজা করে খায় সে খেতে পারে না। যে মা সন্তানদের প্রতিদিন সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত চা বানিয়ে খাওয়াতো সে চা খায় চিনি ছাড়া। খেতে তিতা লাগে তাও খায়। সবার জন্য পাতিল ভরে ভাত-তরকারি রান্না করে কিন্ত নিজে খায় মেপে অল্প করে। বাহিরে গেলে তো আর এতো নিয়ম মানা যায় না। বা সন্তানদের খুশির উপলক্ষে ডায়বেটিস কে ছুটি দিয়ে একটু বেশি মিষ্টি খেলেই সুগার আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে যায়। ১২ থেকে ১৮-২১ এক লাফে।
ডাক্তার পরীক্ষা করার জন্য মেশিন দেয়। যেই তনয়া সব সময় সুঁই ভয় পেতো তার এখন সপ্তাহেই একবার করে আঙ্গুলে সুঁই দিয়ে ফুটো করে রক্তের সুগার মাপতে হয়। আর আউট অফ কন্ট্রোলে গেলে তো কথাই নাই। ডাক্তার নিষ্ঠুরের মত ইন্সুলিন দিয়ে দেয়। ৪০ দিনের ডোজ আর ৫টা চিকন সুঁই। বাঁচতে হলে সুঁই দিতে হবে। আর যাদের ভাগ্য বেশি খারাপ তাদের তো বাকী জীবন দিয়েই যেতে হবে।একটু কোথাও বটী দিয়ে কাটতে গিয়ে অল্প কেটে গেছে,রক্ত বন্ধ হওয়ার নাম নেই। কোথাও অল্প একটু ব্যাথা পেলে তা বহুগুনে বারিয়ে দেয় এই ডায়বেটিস। বার বার পানি পিপাসা পায়। পানি খেলেও তৃষ্ণা মিটে না। আর ডায়বেটিস একা আসে না। সাথে নিয়ে আসে হাই/লো ব্লাড প্রেশার আর হাইপার টেনশন এর মত কিছু রোগ।
ক্যান্সার রোগীর একদিনের মৃত্যুতে অনেকদিনের কষ্টের অবসান হয়।
ডায়বেটিসের রোগীরা প্রতিদিন মরে মরে বেঁচে থাকে,আবার বারবার মরে।
তাও তারা বলে আল্লাহ্ বেঁচে আছি আলহামদুলিল্লাহ্।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ডায়বেটিস থেকে দূরে রাখুক।আর যাদের আছে তাদের শান্তিতে বাঁচতে দিক এই দোয়া করি।
[বি.দ্রঃ ডায়বেটিসের একটাই ভালো দিক ক্যান্সার থেকে যে, ইট হ্যাস অ্যাান্সার।রোগী কষ্ট পায় কিন্তু আল্লাহ্ এর রহমতে বেঁচে থাকে। তাই ক্যান্সার এ মৃত্যুর চেয়ে এই ডায়বেটিসে বেঁচে থাকা ভালো না?? অন্তত বেঁচে তো আছে,হোক না কষ্টে!!! ]
Comments
Post a Comment