অতীতের বাক্স-২(শেষ পর্ব)

জানা গল্প তাও আবার বলিঃ একবার এক শেয়াল আর সারস পাখির বন্ধুত্ব হল। একে অপরকে নিজেদের বাসায় দাওয়াত করল। প্রথমে শেয়ালের বাসায় সারস পাখি খেতে আসলো। শেয়ালের মুখ চ্যাপ্টা তাই সে চ্যাপ্টা প্লেটেই খাবার খায়। তো সে চ্যাপ্টা প্লেটেই সারস বন্ধুকে পায়েশ খেতে দিল। সারসের লম্বা ঠোঁট। অনেক কষ্ট করেও সারস কিছুই খেতে পারলো না।
শেয়াল সারস কে জিজ্ঞেস করল "বন্ধু কেমন খাইলা?" সারস বলল " খুব মজা "।সারস ব্যপারটা মনে রাখল।একদিন সারস তার বন্ধু শেয়ালকে বাসায় দাওয়াত দিল।সারসের লম্বা ঠোঁট তাই সে সরু মুখওয়ালা একটা কলসি টাইপ পাত্রেখাবার খায় তাই ঐ পাত্রেই শেয়ালকে খেতে দিল।শেয়াল পাত্রের মুখ চাটাচাটি ছাড়া আর কিছুই করতে পারল না। এবার সারস শেয়ালকে জিজ্ঞেস করল "বন্ধু কেমন খাইলা?" শেয়াল বলল "অনেক ভাল"। ........................
গল্পের মোরাল আপনারা সবাই জানেন তাই বলার দরকার নাই।
কারো সাথে কিছু করার সময় ভেবে নেয়া দরকার যে এর ফলাফল সামনে কি হতে পারে। এই দিন তো দিন না আরো দিন আছে।ঘুমন্ত মানুষ কে জাগানো যায়,জাগ্রত মানুষকে যায় না।অন্ধকার ঘরে সাপ মানে চতুর্দিকেই সাপ। আর অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খোঁজার মত #স্রোডিঞ্জার আমি না।
আমার কথাগুলা খুবই তীক্ষ্ণ কিন্তু ধারালো। তীক্ষ্ণ কথা শুনতে মিষ্টি লাগে কিন্তু কথার ধার অন্তর এফোঁড়ওফোঁড় করে দেয়। অনেকেই আমার কথায় দুঃখ পেয়ে থাকতে পারেন ইদানিং কালে। তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে আমি এইরকম করেই কথা বলি।সঠিক সময়, সঠিক কাজ, সঠিক সিদ্ধান্ত/ব্যাক্তি এই তিন মিলেই হয় Luck,Destiny,Fortune,Fate যাই বলি না কেন।
কেউ যদি খুব উপরে যেতে চায় যাক কোন সমস্যা নাই।কিন্তু একটা কথা বলে দেয়া যায় যে সেখান থেকে নিচে তাকালে কোন আপনজনের দেখা পাওয়া যাবে না। যখন আপনার ব্যাটে রানের ফোয়ারা থাকবে,পকেটে সেঞ্চুরির ফুলঝুরি থাকবে আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই।হয়ে গেলেন বিখ্যাত।আপনার বংশগতি নিয়েও গবেষণা করবে লোকে।যখন একটা বাজে/ভালো বলে বাজে ভাবে আউট হবেন,ব্যাটে রান-খরা দেখা দিবে। আর ক্লিন বোল্ড হলে ত কথাই নাই।দেখবেন মুদ্রার ঐ পিঠটা কত নিষ্ঠুর।অখ্যাত অবস্থায় আগে আপনাকে কেও চিনত না হয়ত চাইতও না। আর এখন সদ্য কুখ্যাত হওয়া আপনাকেও কেউ চিনতে চায় না। ব্যাটে চমক না থাকলে কেউ দলেই রাখতে চায় না,চেহারা দেখা ত দূরে থাক। জীবনের ক্রিকেট মাঠে অল্টাইম ফর্মে থাকতে হয়। ফর্মে থাকলেই ফুলের মালা না থাকলে জুতার মালা। যারা আকাশে উঠিয়ে ছিল তারাই ধপ করে নিচে ফেলে দেয়। হঠাৎ পতনে হাড়গোড় ভাঙ্গার শব্দেই সবাই উল্লাসিত হয়। একবার ভাবেনা এইভাবে ফেলে দিলে ভাঙ্গা হাড়গোড় নিয়ে মানুষটা উঠে দাঁড়াবে কিভাবে।সেই সময় তাদের নেই চিন্তা করার। যারা উঠতে পারে তারাই মুখের উপর জবাব দিয়ে দেয়। সেই মানুষগুলাই আবার স্তুতি শুরু করে।
ইনফর্ম থেকে অফফর্ম এ গেলেই সকলের প্রকৃত চেহারা বোঝা যায়। কিছু মুখ ইন বা অফ দুই ফর্মেই পাশে থাকে। তারাই পারে অফ কে ইন বানাতে। মুখ-কয়টা ভাল থাকুক।
সকালটা কুয়াশার চাদরে মোড়া,আকাশে সূর্যের দেখা নাই। খুউউব শীত পরছে  !!!!!(সমাপ্ত)

[এটা লেখকের ব্যাক্তিগত মতামত বৈ আর কিছু নয়।এর দ্বারা কেউ অনুপ্রাণিত বা অভিমানী হলে লেখক দায়ী নই।]

Comments

Popular posts from this blog

স্মৃতি

মনের আকাশে মেঘ

এত তিতা লাগে কেন?