Posts

Showing posts from February, 2015

একদিন বালতি ভরবেই!!!!!!!

একটা পানির কল আছে। কলের নিচে আছে বালতি। পানির কলে পানিও আছে। কিন্তু বালতিতে পানির কোন দেখা নেই। এটা এই প্রমাণ করে যে পানির কলে পানি আর কলের নিচে বালতি থাকা মানেই এই নয় যে বালতিতে পানি থাকবে। কি হয় একটু কল খুলে দিলে। সবাই শুধু বালতির পানিটাই চায়। পাক্কা সময়মত। কল খুলে দিতে কেউ চায় না। কারো সময় নেই একটু কলটা খুলে দেয়ার। সবাই ব্যস্ত নিজেদের বালতির পানি ভরতে। একটু আরেকজনের বালতির পানির দিকে কারো তাকানোর সময়টুকু নেই। কিন্তু ঐ একটু সময় আরেকজনের বালতি টাও পানি ভর্তি করতে পারত। যার ব ালতিটা খালি। কেউ বোঝে না যে সময়মত সবার বালতি ভরা নাও থাকতে পারে। তবে হয়ত এখন বালতিতে পানি নাই। কালকে যে ভরা থাকবে না তার কোন নিশ্চয়তা আছে??? কারণ কলের থেকে যখন পানি পড়া শুরু হবে তার গতি সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত না। কেউ খুলুক বা না খুলুক একদিন বালতি ভরবেই!!!!!!! বিঃদ্রঃ এটা একটা বিচ্ছিন্ন কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না। সিরিয়াসলি নেয়ার চেষ্টা না করাই ভালো  smile emoticon ‪#‎ MIKParadox‬

দ্বিধা‬-দ্বন্দ্ব ও তেলাপোকা

মানুষকে ভালোভাবে জানা যায় দুই ভাবেঃ (১)যখন আপনার সুসময় তখন সে আপনাকে আপন করে নিবে আর যখন সুসময় থাকবে না তখন ভুলে যাবে।  (২)আপনার সুসময়ে সবাই আপনাকে ত্যাগ করবে আর আপনি যখন তাদের মত হয়ে যাবেন তখন আপনাকে আপন করে নিবে। আমার মনে হয় সঠিকটা সবাই জানে।আমিই শুধু  ‪#‎ দ্বিধা‬ -দ্বন্দ্বে আছি। হাইফাইভ দিয়া এক হাতে তালি বাজানো যায়।তবে সেই তালিটা হয় একতরফা।যে হাইফাইভ নিতে/দিতে চায়,সে আরেকজনের কাছে গিয়া হাত তুললে পরে আরেকজন সাড়া দিয়ে হাত তুলে হাইফাইভ কমপ্লিট করে।যাই বলি না কেন সেই  ‪#‎ হাইফাইভ‬  কিন্তু তালির পর্যায় পরে না।কারণ তালি দিতে হয় নিজের দুই হাতে।এক হাতে তালি বাজে না,তালি বাজাইতে হলে দুইটা হাতই লাগে। আমার বর্তমান প্রেক্ষাপট আমাকে বারবার ইন্টারমেডিয়েটের বাংলা বইের একটা বাক্যকে মনে ঘুরপাক খাওয়াচ্ছেঃ "অনেকের পক্ষে নিজেদের আয়ত্তের বহির্ভূত উচ্চস্থানে ওঠবার চেষ্টাটাই মহাপতনের কারণ হয়"- (সাহিত্যের খেলা,প্রমথ চৌধুরী)। কিন্তু আরেকটি বাক্যও যে ভোলার নয়......বড়ভাইয়াও বলতঃ "টিকিয়া থাকাই চরম সার্থকতা নয়, এবং অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু  ‪#‎ তেলাপোকা‬  টিকিয়া আছ...

বার্গার‬ ও চন্দ্রমুখী‬

আপনি আজকে একটা  ‪#‎ বার্গার‬  কিনলেন এবং খেলেন......পরের দিন আবার একটা বার্গার কিনলেন এবং খেলেন......পরের দিন.........পরের দিন.........পরের দিন......... একদিন মনে হয় আপনার বার্গার খেতে বিরক্ত লাগবে। এই রকম আমি বা আমারা কিছু বার্গার খাই......এক সময় বিরক্ত লাগে......খেতেও ইচ্ছা করে না আবার না খেয়েও থাকা যায় না। এখানে আমার বক্তব্য হচ্ছে যার খেতে বিরক্ত লাগে সে মুখ থেকে থুঃ করে ফেলে দিক।আর যার না খেয়েও থাকা যায় না অবস্থা সে আবারো খেতে থাকুক।কারণ একই বার্গার খেতে আসলে সবার বিরক্ত লাগে না। ‪#‎ শুনেন_বলি_নতুন_করে_পুরান_ঘটনা‬ একবার এক লোক আর তার ছেলে একটা গাধা সহ হেঁটে গ্রামের রাস্তা পাড়ি দিচ্ছিল। বাবা ছেলেকে গাধার উপর বসিয়ে দিল পথিমধ্যে লোক দেখে বলল "কি খারাপ ছেলে বাবাকে হাঁটিয়ে নিয়ে নিজে বসে বসে যাচ্ছে"। পরে ছেলে বাবাকে বসিয়ে নিজে নেমে গেল। আরেকটু সামনে গেলে আবার লোকে বলল "কি খারাপ বাবা ছেলেকে হাঁটিয়ে নিজে বসে যাচ্ছে"। এবার বাবা ছেলেকে গাধার উপর বসিয়ে নিজে হেঁটে যাচ্ছে।সামনে এবার একটু পরে একজন লোক বলল "লোকটা কত বোকা গাধা থাকতেও হেঁটে যাচ্ছে"। এবার বাবা ছেল...

গল্প

আমার জিগারের দোস্ত  Rafiqul  আমাকে ঐদিন একটা গল্প মনে করিয়ে দিলঃ "একবার এক বিবাহিত বন্ধুর বিয়ের টুপি নিয়ে তার বন্ধু বিয়ে করতে গেল। তো বিয়ের অনুষ্ঠানে নতুন বর তার বন্ধুকে পাশে বসাল যার টুপি সে মাথায় দিয়েছে।তো লোকজন আসা যাওয়া করছে...... খোঁজ খবর নিচ্ছে।একজন বরের পাশে বসা বন্ধুকে জিজ্ঞেস করছেঃ জনৈক ব্যাক্তিঃ কেমন আছেন? বরের বন্ধুঃ ভাল আছি কিন্তু ওর মাথার টুপিটা আমার। বর রেগে গেল বন্ধুর উপর। "অই এই কথা বলার দরকার আছে যে টুপি তর????" আবার আরেকজন আসলঃ জনৈক ব্যাক্তিঃ কেমন আছেন? বরের বন্ধুঃ ভাল আছি কিন্তু ওর মাথার টুপিটা আমার না। বর এবার আবারো রেগে গেল বন্ধুর উপর। "অই এই কথা বলার দরকার আছে যে টুপি তর না????" আবার আরেকজন আসল এবং জিজ্ঞেস করলঃ জনৈক ব্যাক্তিঃ কেমন আছেন? বরের বন্ধুঃ ভাল আছি কিন্তু ওর মাথার টুপিটা সম্পর্কে কিছু বলব না।" ............................................................... গল্পটা কেন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম তা আমি নিজেই স্পষ্ট না।হয়ত মজা পাইলাম তাই শোনালাম  pacman emoticon   pacman emoticon   pacman emoticon   pacman emoticon বাড়াবাড়...

মানুষ

Image
আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের অনেক নেয়ামত দিয়েছেন(আলহামদুলিল্লাহ্‌  grin emoticon  )।আমাদের অনেক অপ্রাপ্তিকে প্রাপ্তির খাতায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।কিছু কিছু এখনো প্রাপ্তির খাতায় পেন্ডিং আকারে আছে  pacman emoticon   pacman emoticon আমরা যা খুব করে পেতে চাই সেটা কেন যেন কখনোই কাছে আসতে চায় না, দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। আবার যখন খুব করে কিছু দিতে চাই সেটাও কেন যেন কখনোই নিতে চায় না , দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। সবক্ষেত্রেই তাড়িয়ে দেয়, দূর দূর করে......  এটা সবসময়ের জন্য ধ্রুব নাও হতে পারে  smile emoticon  ব্যতিক্রম বলে একটা কথা আছে না। অনেকেই পেয়ে যাই অনেক দ্রুত, অনেকের পেতে একটু কষ্ট হয় তবে পায়,আবার অনেকের না পাওয়াই থেকে যায়। প্রকৃত পক্ষে পৃথিবীতে এই দুইটাই বিদ্যমান। দেয়া-নেয়া। কেউ দেয় আর কেউ নেয়।পৃথিবী বড়ই রহস্যময়। যার জন্য করি চুরি সেও বলে চোর !!!!!! যার ঘরে করি চুরি সেও বলে চোর !!!!! ডাবল বুলেট ইন ওয়ান পয়েন্ট  pacman emoticon   pacman emoticon   pacman emoticon   মানুষ কাজ-কর্ম ছাড়া বেশি দিন থাকতে পারে না। হোক সেটা সেকেন্ড,মিনিট,ঘণ্টা...

রূপক

[গল্প বলার কারণ মনে পড়ায় পরে এডিট করে দিলাম পোস্ট  grin emoticon  ] দুইটা রূপক গল্প বলি  grin emoticon  সময় থাকলে পড়বেন আর নাইলে বাদ দেন। কারণ এই গল্প পড়ে পরে আবার মন খারাপ করবেন যে কি কইল পুরাই মাথার উপর দিয়া গেল  pacman emoticon   pacman emoticon   pacman emoticon রুপক একঃ একটা মানুষের অনেক টাকা পাওয়ার ইচ্ছা। সে আগে আফসোস করত যে অনেক টাকা পেলে সে এই করবে সেই করবে। এইভাবে সে কষ্ট করে টাকা জমাতে শুরু করল ব্যাংকে।কিছু খরচও করে আবার কিছু জমায়ও। এই রকম করতে করতে একবার এই অবস্থা হল যে ব্ যাংকে অনেক অনেক...... টাকা জমা হল। সে তো পুরাই খুশি। এতো টাকা কয়দিনে শেষ করবে ভেবে পেল না। আজকে অল্প কালকে অল্প আবার কোন দিন একটুও না এই ভাবে করে টাকার পরিমাণ ব্যাংকের থেকে যা কমালো তা সাগর থেকে এক বালতি পানি নেয়ার মত হল। এইবার একদিন তার মরনব্যাধি হল। এখন সে চিন্তায় পরে গেল যে এতো জমিয়ে কি লাভ হল যে খেয়েই শেষ করে যেতে পারল না?????? রুপক দুইঃ একবার একজন ইন্টারনেট পেলে এই করত সেই করত বলে আফসোস করত। এইটা নামাবে সেইটা বানাবে ভাবত। সেই একবার মোবাইলে অনেক অনেক অনেক জিবি...

চিঠি

Image
আমরা অনেক সময় আল্লাহ্‌ এর কাছে অনেক কিছু চাই। কিছু পাই আবার কিছু পেন্ডিং থেকে যায়  grin emoticon  কিন্তু কখনো কি কিছু অন্তর থেকে চেয়েছি??? না না আমাকে বকাবকি না করে নিজেই একটু ভালো করে ভেবে বলেন। চেয়েছেন?? "আরে ভাই কত চাইলাম, হিসাব নাই" জানি অধিকাংশই এই উত্তর দিবেন। আমি ব্যাপারটা ফুল ক্লিয়ার করে দেই। আসলে আপনি যেটা অন্তর থেকে চাইবেন সেটা কখনোই আল্লাহ্‌ কে উদ্দেশ্য করে চাওয়া হয় না। ঐটা সবসময় আপনার অবচেতন মনের একটা দুর্বল কিন্তু তীব্র আকাঙ্ক্ষা। ঐটা অটোমেটিক আপনার-আমার অজান্তেই আ ল্লাহ্‌ কে উদ্দেশ্য করে পোস্ট করা একটা আর্জেন্ট রেজিস্টারড বেয়ারিং চিঠি। আর আমরা জানি আর্জেন্ট রেজিস্টারড চিঠি কদাচিৎ পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। এখন বলবেন যে একটু আগে বললাম আল্লাহ্‌ কে উদ্দেশ্য না করে আবার অটোমেটিক কিভাবে আল্লাহ্‌ কে উদ্দেশ্য করে অজান্তে???  ভেরি সিম্পল, আল্লাহ্‌ আমাদের সাথে সবসময় সবখানে আছেন। জাস্ট আমাদের উপলব্ধি করার ক্ষমতা নাই। আর তখনই হয় যখন আল্লাহ্‌ আমাদের ভরবেগের পরিবর্তন করেন।  অর্থাৎ যখন জীবনে সাফল্য আসে বা ব্যর্থতায় পতিত হই।  #‎ আল্লাহ্‌‬   ‪#‎ এক‬ -অদ্বিতীয়।আল্ল...

ব্যাটসম্যান

আজকে এক ব্যাটসম্যানের গল্প বলবঃ আসার সাথে সাথেই দলে ভালো পারফর্ম করতে শুরু করল। আসার পর হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলল। তারপর প্রতি ম্যাচ এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শুরু করল। হঠাৎ করে ইঞ্জুরিতে পড়ে দল থেকে ছিটকে পড়ল। ইঞ্জুরি কাটিয়ে আবার দলে যোগ দিল। দলে এবার সে সেই রকম পারফরম্যান্স দেখাতে শুরু করল। এমন কি সে পার্ট টাইম বোলিং এও উইকেট পেতে শুরু করল। পুরাই সোনায় সোহাগা। হঠাৎ এক ম্যাচে বাজে ভাবে আউট হল। ভালো খেলোয়াড় হওয়ায় সবাই ব্যাপারটাকে দুঃখজনক বলেই মেনে নিল। আবার সে আরেক ম্যাচে রেকর্ ড গড়ল। করে ফেললো ডাবল সেঞ্চুরি সাথে বল হাতে পাঁচ উইকেট। ম্যান অফ দা ম্যাচ হল। ফলে তাকে এবার অধিনায়কত্ব দেয়া হল। অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেই বাজিমাত সেঞ্চুরি !!!!! কিন্তু হঠাৎ পাশা পল্টে গেল। এখন ব্যাটসম্যানের ব্যাটে আর কেন যেন রানের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েকবার অফ ফর্ম ব্যাটিং এর জন্য শোকজ পেল। ফলে দলের থেকে বাদ না পড়লেও অধিনায়কত্ব হারাল। সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবেই খেলতে লাগলো। হঠাৎ ব্যাটসম্যানের মনে হল সে আর আগের মত ব্যাটিং করতে পারছে না......সে যেন ব্যাটিং ভুলে গেছে। মাঠে নেমে বাজে ভাবে আউট হওয়া শুরু করল। নিজের এই ব...