Posts

Showing posts from July, 2016

তেলাপোকা একটা পাখি,আমি একটা মানুষ।

“কাজের বেলায় কাজী,কাজ ফুরালে পাজী”। চতুর্দিকে কাজী আর পাজী দুই ক্যটাগরির অভাব নাই। সুসময়ে হ্যালো বলা আর দুঃসময়ে টাটা বলা মানুষ চিনতে চোখে চশমা দেয়া লাগে না। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মানুষের ব্যপারেও একই কথা। নৌকায় চড়ে ঐ নৌকায় ছিদ্র করা মানুষের খুব খারাপ স্বভাব। নিজের মনের/স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলেই তার পিছনে সমালোচনা আবার দরকার পড়লেই তার সাথেই হাসিমুখে আলোচনা। প্রকাশ্য শত্রুও এদের থেকে ভালো। তারা অন্তত চোখে চোখ রেখে মোকাবেলা করে, তাদের নীতি আছে। তারা মুখে মধু বলে অন্তরে বিষ রাখ া মুনাফিক না। আশেপাশে রোগী কম ডাক্তার বেশি। একটা রোগের কথা বললে আশেপাশে অনেক বিনে পয়সার ডাক্তার দেখা যায়। রোগের জন্য ফাও ডাক্তারি করতে এমবিবিএস পাশ করা লাগে না। কিন্তু রোগের ট্রিটমেন্ট করতে এমবিবিএস পাশ করা লাগে। আর এমবিবিএস পাশ করে ডাক্তারি করা কি সহজ না কঠিন তা বলা বাহুল্য। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। কখনোই বলা হয় নি যে স্বাধীনতা অর্জন করা অনেক সহজ। মানুষের বিবেক আছে,বিবেক দিয়েই চিন্তা করা উচিৎ। কিছু মানুষ আছে যারা কারো কাছ থেকে হওয়া লাভক্ষতির হিসেব করার সময় পায় না। তাদের মন তাদের দেহের তুলনায় অনেক ব...

কয়েদী

এখন বালক কিছুটা স্বাভাবিক।বুঝতে পারল যে এই চার দেয়াল সল্পসময়ের। আজকে দিন গেলেই অপেক্ষার প্রহর একদিন শেষ। বালকের জেলখানায় এখন আর খারাপ লাগে না।  বালক একদা ভুল করল।বালক কে শাস্তি সরূপ জেলখানায় পাঠানো হল। বয়স ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সল্প মেয়াদি শাস্তি হল।জেলখানায় জামিনের ব্যবস্থা ছিল। মাঝে মধ্যে জামিনে বাসায় যেত।আম্মুর পায়ে মাথা রেখে শুয়ে থাকত, আম্মু নল া তুলে বালক কে মাঝে মধ্যে খাইয়ে দিত। ভাই বোনদের সাথে সময় কাটাত। আব্বুর সাথে ব্যস্ত থাকত, একা একাও সময় কাটাত।আবার জেলখানার পাগলা ঘণ্টি বেজে উঠত। বালক যেতে চাইত না। কিন্তু অফিসারদের শাস্তির ভয়ে চলে যেতে হত। এভাবে বালক প্রতিদিন মুক্তির প্রহর গুনত। কবে মুক্তির দিন আসবে। বালকের কষ্ট এই যে বালককে দেখতে কখনো কেউ আসত না। বালক জামিনের জন্য আশায় বুক বাঁধত। যেদিন প্রথম জেলে আসে সেই দিন তার আব্বু আম্মু রেখে যেতে এসে ছিল। যাবার সময় অনেক বুঝিয়েছে যে সময় হলেই বের হয়ে যাবে সে। জেলখানায় অনেক অনিয়ম। জেলখানায় তার মত অনেক কয়েদী আছে। বালক জেলখানায় বিষণ্ণ সময় কাটাত। কিছু কিছু কয়েদীদের সাথে চলা ফেরায় সেই বিষণ্ণ ভাবও আস্তে আস্তে কেটে শুরু করল। কোন এক দিন এই জেল...

শুনেন বলি নতুন করে পুরান ঘটনা

অনেক ভেবে দেখে বুঝে চিন্তা করে কথাগুলো লিখছিঃ পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজ মনে হয় কাউকে উপদেশ দেয়া বা পরামর্শ দেয়া। পরামর্শ আর উপদেশে পার্থক্য কি???? উপদেশ যে কোন ব্যাপারে দেওয়া যায়, পরামর্শ দিতে হয় সিরিয়াস ব্যাপারে(নিজস্ব অভিমত!!!) কিন্তু পরামর্শ দেয়াটাই আসলে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ। কারণ যাকে পরামর্শ দিচ্ছি আমি তার অবস্থানে নেই। আমি আমার অবস্থান থেকে তা কে পরামর্শ দিচ্ছি। আমার পরামর্শের উপর সে এগিয়ে যেতেও পারে নাও পারে এটা তার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই ব্যাপারে সে স্বাধীন। আরেকজনের জীবনের ব্যাপারে মতামত দেয়ার জন্য আমি বাধ্য নই।যখন আমার কাছে চাওয়া হয়।তার মানে আমি তার ব্যাপারে ভাল কিছু করতে পারি হয়ত এটা তার বিশ্বাস। কিন্তু আমার মনে হয় এই চিন্তাটা আমরা খুব কম মানুষই করি। তাই বলে কি দিব না। অবশ্যই দিব।আমি হলে যা করতাম তাই বলব করার জন্য। তবে অবান্তর বা অসম্ভব কিছু বলব না যা আমি করতাম না। এমন কিছুই বলব যা আমি করতে পারি নাই কিন্তু সে করতে পারবে। আমি একটা রাস্তায় হেঁটে পার হয়েছি।রাস্তায় গর্ত ছিল।আমি জানতাম না। গর্তে পড়েছি।আবার উঠেছি।অনেক কষ্টে হয়ত পার হয়েছি।আমার কাজ হবে যে আমার কাছে ঐ...

অতীতের বাক্স-২(শেষ পর্ব)

জানা গল্প তাও আবার বলিঃ একবার এক শেয়াল আর সারস পাখির বন্ধুত্ব হল। একে অপরকে নিজেদের বাসায় দাওয়াত করল। প্রথমে শেয়ালের বাসায় সারস পাখি খেতে আসলো। শেয়ালের মুখ চ্যাপ্টা তাই সে চ্যাপ্টা প্লেটেই খাবার খায়। তো সে চ্যাপ্টা প্লেটেই সারস বন্ধুকে পায়েশ খেতে দিল। সারসের লম্বা ঠোঁট। অনেক কষ্ট করেও সারস কিছুই খেতে পারলো না। শেয়াল সারস কে জিজ্ঞেস করল "বন্ধু কেমন খ াইলা?" সারস বলল " খুব মজা "।সারস ব্যপারটা মনে রাখল।একদিন সারস তার বন্ধু শেয়ালকে বাসায় দাওয়াত দিল।সারসের লম্বা ঠোঁট তাই সে সরু মুখওয়ালা একটা কলসি টাইপ পাত্রেখাবার খায় তাই ঐ পাত্রেই শেয়ালকে খেতে দিল।শেয়াল পাত্রের মুখ চাটাচাটি ছাড়া আর কিছুই করতে পারল না। এবার সারস শেয়ালকে জিজ্ঞেস করল "বন্ধু কেমন খাইলা?" শেয়াল বলল "অনেক ভাল"। ........................ গল্পের মোরাল আপনারা সবাই জানেন তাই বলার দরকার নাই। কারো সাথে কিছু করার সময় ভেবে নেয়া দরকার যে এর ফলাফল সামনে কি হতে পারে। এই দিন তো দিন না আরো দিন আছে।ঘুমন্ত মানুষ কে জাগানো যায়,জাগ্রত মানুষকে যায় না।অন্ধকার ঘরে সাপ মানে চতুর্দিকেই সাপ। আর অন্ধকার ঘর...

অতীতের বাক্স-১

অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ এই তিনটি নিয়েই জীবনের শুরু এবং শেষ। এই মাত্র যা লিখলাম তাই অতীত হয়ে গেল।চোখে বস্তুর বিম্ব গঠন হয়ে দেখতেও .১০ সেকেন্ড সময় লাগে।তাই যা দেখলাম তাও অতীত হয়ে গেল। অতীত আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীত ছাড়া আমারা বর্তমানে এলাম কিভাবে??? মজার ব্যপার হচ্ছে এই অতীত একটু ভিন্নরকমের।কেমন?? অতীত একটা বাক্স। অতীতের বাক্সে সব সুখ-দুঃ খ, হাসি-কান্না,সফলতা-ব্যর্থতা,আশা -হতাশা,চরিত্র-ব্যবহার, ভালবাসা এই সব কিছু লুকিয়ে রাখা যায়। গোপনেই লুকিয়ে রাখা হয়। মাঝে মধ্যে দুঃখে বা কষ্টে বাক্স খুলে সুখের কিছু স্মৃতি বের করে দেখি।ভালো লাগে। সুখের সময় কষ্টের কিছু স্মৃতি দেখে নিজেকে ভাল অবস্থায় আসার জন্য সান্ত্বনা দেই। এই সব ক্ষেত্রে অতীতের বাক্স ভাল সার্ভিস দেয়। কিন্তু অতীত নিয়ে যখন অন্য কেউ ঘাঁটাঘাঁটি করে, পরিণাম ভাল বা খারাপ দুইটাই হতে পারে। (১)অতীতের সুখ-স্মৃতি নিয়ে উৎসাহ দিতে পারে,প্রশংসা করতে পারে,সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে। (২)কিন্তু ব্যাপারটার উল্টোও ঘটতে পারে। অতীতের কার্যকলাপ যা ভুলে যেতে চাই, তা স্মরণ করিয়ে আরও বিপদে ফেলে দিতে পারে। অতীত অতীত অতীত........

Acknowledgement 1.1

প্রমথ চৌধুরী শিখিয়েছেন যে সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। কিন্তু আজকাল একটা ব্যাপার এই কথাটাকে ভিন্ন ভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।  আজকাল মনে হয় অ আ ই ঈ শিখাতেও সার্টিফিকেট লাগবে। কারণ আপনি যদি স্বশিক্ষিত হয়ে থাকেন তবে হয়ত কেউ  আপনাকে মূল্যায়ন করতে চাইবে না। কারন তারা ঐ সার্টিফিকেট এর মাধ্যমেই আপনাকে মূল্যায়ন করবে। যেটা স্বশিক্ষিত হলে আপনার কাছে থাকবে না। গিয়ে হয়ত দেখবেন যে বাংলা ভাষায় পিএইচডি করা কেউ অ আ ই ঈ শিখাচ্ছে।কারণ তিনি বাংলা ভাষায় সুশিক্ষিত!!!! তার আছে সার্টিফিকেট!!! কিন্তু হয়ত কোন স্বশিক্ষিত কেউ তার থেকে ভালো শিখানোর ক্ষমতা ও যোগ্যতা রাখে!!!! আপনাদের মাথায় প্রশ্ন জাগছে যে এত প্যাঁচাল কেন? এইগুলা তো জানি। তাহলে শুনেন বলি নতুন করে পুরান ঘটনা। আমারা হয়ত অনেকেই অনেক ব্যাপারে স্বশিক্ষিত আছি কিন্তু সার্টিফিকেটধারী সুশিক্ষিতদের কারণে আমাদের স্বশিক্ষার মূল্য পাই না। কারণ আপনি একটা ব্যপারে অনেক ভালো স্বশিক্ষিত হলেও ঐ ব্যাপারে আপনার হয়ত কোন সার্টিফিকেট নাই। তখন অনেকেই বলবেন যান ভাই ঐ ব্যপারে একটা কোর্স করে সার্টিফিকেট নিয়ে নেন,এত প্যাঁচাল পাড়ার দরকার কি? আমি তখন বলব যে এত সময় দিয়ে ...

ল্যাপটপটাই কি শেষ গন্তব্য??

আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়া আমাদের ছেড়ে আল্লাহ্‌র কাছে চলে গেছেন। ছেড়ে গেছেন আমাদের এই মাটির পৃথিবী। স্কুলে থাকার সময় একরকম আশা ছিল। কলেজ শেষ করার পর আশার নৌকার পালে আবারো হাওয়া লাগলো।আশার নৌকা বেয়ে বেয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সময় চলে যাচ্ছে।আশা আস্তে আস্তে ভ্যারিয়েবল হয়ে যাচ্ছে। আজকে যেটা মনস্থির করি কালকেই সেটা আবার ডায়নামিক হয়ে যায়। স্ট্যাটিক কিছুই নাই।কিছু সম্পর্ক আছে যে গুলা এখনো বাঁচার শক্তি যোগায়।যাদের জন্য বাঁচতে ইচ্ছে হয়।যাদের ভালো দেখতে ইচ্ছে করে।কারণ সবশেষে তো মাটির দেহ মাটির বুকেই ফিরে যেতে হবে। ফিরে যেতে হবে সৃষ্টিকর্তার কাছে,যার কাছ থেকে এসেছি। এই মাটির দেহের জীবনের বাহিরেও একটা জীবন আছে। যেই জীবনের ডকুমেন্টেশন দেয়া আছে। শুধু ঐ জীবনের এপিআই নিয়ে ইমপ্লিমেন্ট করলেই হবে। সুন্দর করে গুছানো মৃত্যুর পরের জীবনের কথা। কি করলে কি পাব,কি করলে কি হারাবো।সবই জানি,সবই বুঝি হয়তোবা। তবুও এই ল্যাপটপের জীবনকেই প্রাধান্য দেই। প্রাধান্য দেই বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং। মাঝে মাঝে ভাবি এই বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কি সব!!!! ল্যাপটপটাই কি শেষ গন্তব্য?? তারপরও জীবনের ম্যাক্সিমাম সময় মনে হয় এই ...