Posts

Quran (42:50) কি বলে?

Image
আপনি সূরা আশ-শুয়ারা (42:50) এর প্রকাশিত কিছু  ইংরেজি অনুবাদ আছে বিভিন্ন সাইটে/ আর্টিকেলেও বিভিন্ন ব্যাক্তি থেকে পাওয়া যারা অভিজ্ঞ সেগুলো আমার দৃষ্টিতে সংশোধনযোগ্য হবে কেননা সঠিক অনুবাদ করা হয় নি। আপনি যেহেতু এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশনাতে সময় দিয়েছেন তাই আপনাকে অনুরোধ করবো যদি আমার প্রস্তাবটি বিবেচনা করে দেখেন। আয়াতটি হচ্ছেঃ أَوۡ يُزَوِّجُهُمۡ ذُكۡرَانٗا وَإِنَٰثٗاۖ وَيَجۡعَلُ مَن يَشَآءُ عَقِيمًاۚ إِنَّهُۥ عَلِيمٞ قَدِيرٞ https://quran.com/42/50 এই লিঙ্ক থেকে আপনি শব্দে শব্দে আরবী থেকে ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড ইংরেজী ট্রান্সলেশন পাবেন। আরেকটি লিঙ্ক দিচ্ছি ভাই, https://myislam.org/surah-shura/ayat-50/ এই লিঙ্ক থেকেও আপনি মাউস হোভার করলে আপনি শব্দে শব্দে আরবী থেকে ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড ইংরেজী ট্রান্সলেশন পাবেন। এখানে, أَوۡ = "or" وَ = "and" يُزَوِّجُهُمۡ = "He grants them" يَجۡعَلُ = "He makes" এখানে উল্লেখ্য যে যখন ছেলে এবং মেয়ে উভয় কে দেয়ার কথা আল্লাহ্‌ মেনশন করেছেন তখন ব্যবহার করেছেন يُزَوِّجُهُمۡ "He grants them" যেমন আমাদের আব্বু আম্মুর ছেলে মেয়ে দ...

একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ সব কিন্তু কুরআনে সরাসরি পাবেন না

আল্লাহ্‌ তায়লা কোরানে বলেছেন যে যারা চিন্তা-ভাবনা করে তাদের জন্য কোরানে নিদর্শন আছে। আমাদের মুসলমানদের অনেকেই কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না। আল্লাহ্‌ আমাদের মুসলমানদের অনেকেই কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার তৌফিক দিবেন ইনশা আল্লাহ্‌। ব্যাপারটা কি জানেনে ডাইনোসর বা এলিয়েনের এর কথাও কিন্তু কুরআনে সরাসরি নেই। এমনকি হাদিসেও সরাসরি নেই।   এই ব্যাপারের একটা সুন্দর ভিডিও পেয়েছি (https://www.facebook.com/imamuzairakbar/videos/1263362351200892/) কুরআন হচ্ছে আল্লাহ্‌ তায়লার পক্ষ থেকে গাইডেন্স। এই গাইডেন্স এর সাথে রিলেটেড যা কিছু আছে সে গুলোই কুরআনে আছে। একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ সব কিন্তু কুরআনে সরাসরি পাবেন না। কুরআন থেকে এবং হাদিস থেকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে উদ্ভূত সমস্যা এর সমাধানের জন্যই ফীকহ শাস্ত্রের জন্ম। https://bn.wikipedia.org/wiki/ফিকহ   তবে আল্লাহ্‌ বলেছেন কুরানের একাধিক আয়াতে (আগের পরের আয়াত পড়লে কন্টেক্সট বুঝতে পারা যায় ভালো করে) সূরা নাহলের ৮ নম্বর আয়াতে ˹He also created˺ horses, mules, and donkeys for your transportation and adornment. And He creates what you do not kn...

সুইসাইড ইজ নট প্রমোটেড

আত্মহত্যার খবর আমার সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিউজফিডে এসেছে গত ৫ বছরে; যার মধ্যে বেশ কয়েকটা স্টুডেন্টদের এবং সেই প্রসঙ্গেই লিখছি। সুইসাইডের ব্যাপারে  নিজের ভিউটা প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করবো।   মেধাবী/অমেধাবী স্টুডেন্ট সেই বিতর্ক নেই। আমার মনে হয় প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি না থাকলে, হতাশার ফাঁদে পড়ে এই পাপের পথে পা দেয়া। তাদের আর্থ সামজিক অবস্থা, মানসিক স্বাস্থ্য, চারপাশের পরিস্থিতি এইগুলো কি কেউ এনালাইসি করে? কিভাবে করবে, এছাড়াও তাদের অনেক না বলার মত কারণ ছিলো যেটা মৃত লাশের সাথে হারিয়ে গেছে। কেউ জানবে না। জানা সম্ভবও না।   আত্মহত্যা কি সব সমস্যার সমাধান হয়? নাকি আরো সমস্যার জন্ম দেয়? কেউ বাবা-মা কে দায়ী করে, কেউ সমাজ কে, কেউ শিক্ষা ব্যাবস্থাকে, কেউ ফ্রেন্ড সার্কেলকে দায়ী করে। সমাধান কেউ দিচ্ছে কি? দিচ্ছে। যেটা সমাধানের পথ হতে পারে বলে মনে হয় এই রকম একাধিক সমাধান দেখেছি। কাউন্সেলিং, রিলিজিয়ন, কমিউনিটি আরো অনেক ভারী ভারী ইংরেজি শব্দ। যিনি মৃত তাকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারছে না। আমি যেটা মনে করি এক্ষেত্রে ধর্ম আমাদের এই হতাশার ফাঁদে পা দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে। ধর্মের অন...

Progress

Mistakes are the wrong actions to the path of nondeterministic life that we were trying to live as deterministic by not reaching multiple states with the same decisions. Sometimes we may be stuck in some decisions, not avoiding the situations that no longer leads to advancement. We halt and take a look back. Think about the adjustments that can resolve the circumstance. Being stuck is also part of the journey. It helps to infer the precision and accuracy. It was never wrong to do the right thing. Maybe sank in mistakes defined life as OK, but it's not. It's only OK when you try to figure out the actions in this regard. Sometimes we have to break some to make some from our current perspective. It is not always easy to capture the bigger picture in front. You have to break the soil if you want to get the plant.  When I reflect on my lifetime that I already lived, I am happy being lucky enough to be alive till now MashaaAllah. And when I am looking forward to the nondeterministic ...

মতবিনিময় ও বিতর্ক

আলোচনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবার পেছনে মতবিরোধ এর পরিবর্তে দ্বিমত পোষণ এর মাধ্যমে ভিন্নমতকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মতবিনিময় ঘটে। কনভার্সেশনগুলো কখনোই আলোচনায় শেষ হয় না। হয় সেটা আর্গুমেন্টে কনভার্ট হবে নয়ত সেটা ডিবেটে মোড় নিবে।  আর্গুমেন্ট আর ডিবেটে ফারাক এইটুকুই যে আপনি ভিন্নমতকে কতটুকু আর কিভাবে রেস্পেক্ট করছেন। আপনি, আমি বা আমরা অনেক সময় পয়েন্টলেস আর্গুমেন্ট করি, ফ্যালাসির মাধ্যমে সিচুয়েশনকে নিজের ফেবারে নেয়ার জন্য ডিস্কাশনকে ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা করি। আর্গুমেন্ট আর ডিবেটে হেরে যাওয়া আর জিতে যাবার একটা ব্যাপার থাকে লজিকের সিঁড়ি বেয়ে কে কতটুকু প্রভাবিত করতে পারলো তার ওপর। মতবিরোধ ই এই ক্ষেত্রে মূলত প্রধান ভূমিকা পালন করে। আবেগ এবং বিবেক এর পার্থক্য হচ্ছে যুক্তির কাছে কে হার মেনে যাচ্ছে আর কে হার মানিয়ে দিচ্ছে। আমাদের নিজেদের প্রতিনিয়ত নিজেদের সাথে ডিস্কাশন করতে হয়। আমাদের গিভেন অপশন থেকে অপশন চয়েস করতে হয়। আমরা যে অপশন চয়েস করি সেটার জাস্টিফিকেশন আমাদের কাছে থাকতে হয়। বিবেকের কাছে জাস্টিফাইড হলে সেটা ভালো আর আবেগের প্রভাবে হলে তার জন্য জাস্টিফিকেশন খুঁজে বের করতে হয়। আমরা যদ...

জীবনের হিসেব নিকেশ

আমাদের চিন্তাধারা জগতে আমরা খুব কমই থাকতে পারি হোক সেটা বেশিরভাগের চোখে ইতিবাচক না নেতিবাচক। আমরা সমাজে বসবাসকারী বেশিরভাগই যা করি আসলে, কেন করি? কাদের জন্য করি? করে কি হবে? সেটা জানি না। সবাই করে এবং করার জন্য করা তাই করি। অনেকেই বলবে ভুল লিখলাম। তারা জানে যে কি করছে কেন করছে এবং কাজের ফলাফল কি সেটা। ভুল। সে ভুল জানে। এবং তার জানা যে ভুল সেটাও সে জানে না। অনেকেই আছে যারা অবশ্য এই তত্ত্বের বাহিরে। তারা সঠিক ভাবে জানে,বুঝে, এবং করে তারা যারা করছে। বেশির ভাগই এই আবছা ধোঁয়াশার মধ্যে করে করে জীবন পার করে ফেলে। এবং মজার ব্যপার হচ্ছে করতে করতে তারা জীবনের একটা না একটা লক্ষ্যে পৌঁছেই যায়। তবে যায় যে কারণে সেটা হচ্ছে তার লেগে থাকার জন্য বুঝক বা না বুঝক, করার জন্য হলেও করে যাবার জন্য। চেষ্টা চালিয়ে লেগে থাকার জন্য। সবাই লেগে থাকতে পারে না। যারা পেরে যায় জীবন তাদেরকেই পুরস্কৃত করে।(তাদের খাটো করছি না কাউকেই) “Hard work beats talent when talent doesn’t work hard.” – Tim Notke আসলে সফলতা বলতে কিছু কি আদৌ আছে? সেটা পুঞ্জীভূত চেষ্টা এবং নিরলস পরিশ্রম বৈ কিছু না। অথবা আরেকটু ভেঙ্গে বললে অন্য...

জীবন সুন্দর

মুভি গুলা কত ভালো। সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ঘন্টা থেকে সর্বনিম্ন দেড় ঘন্টার মধ্যে পুরো গল্প বলা যায়। কোনটার হ্যাপি এন্ডিং তো কোনটার স্যাড। কোনটায় মিস্ট্রি তো কোনটায় কনফিউসিং ওপেন এন্ডিং। হরেক রকম জন্ররার হরেক রকম প্রেজেন্টেশন থাকে মুভিগুলার। কোন মুভির মধ্যে বা এন্ডিং ভালো না লাগলে ঐ জন্রার অন্য মুভি সিলেক্ট করে দেখা যায় বা অন্য জন্রায়ও সিফট করা যায়। কোন সমস্যাই নাই মুভিতে। মাথা ন্যাড়া হয়ে গেলে কয়েক সিন পরেই আবার মাথা ভর্তি চুলের ক্যারেক্টার দেখা যায়। ঠেলাগাড়ী ঠেলে ঠেলে লটারি পাওয়া যায়। কয়েক সিনের মধ্যেই গ্র্যাজুয়েশন শেষ হয়ে যায়। হারতে হারতে ম্যাচ জিতে যায়। শেষ সিনে অল্প অল্প করে এগুতে থাকা পুরা গল্পই শেষ হয় ঠিক যেভাবে পরিচালক চায় সেভাবেই। কিন্তু জীবন তো মুভি না। ছায়াছবির মতই ছায়াময় এই ছবির গল্প গুলা আমাদের মোহে আচ্ছন্ন করতে যথেষ্ট। কল্পনার জগতেই তারা সুন্দর কিন্তু বাস্তবতা এই রূপালী পর্দাকে হার মানায়। রূপালী পর্দার গল্প তৈরিই হয় বাস্তবতাকে অবলম্বন করে অথবা কি রকম হতে পারে তা কল্পনা করে। আর ফ্যান্টাসি বা অবাস্তব গল্পের দিকে আর গেলামই না। আমাদের জীবন অনেক লম্বা আবার অনেক ছোট কিন্তু অনেক গুলো...