মতবিনিময় ও বিতর্ক

আলোচনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবার পেছনে মতবিরোধ এর পরিবর্তে দ্বিমত পোষণ এর মাধ্যমে ভিন্নমতকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মতবিনিময় ঘটে। কনভার্সেশনগুলো কখনোই আলোচনায় শেষ হয় না। হয় সেটা আর্গুমেন্টে কনভার্ট হবে নয়ত সেটা ডিবেটে মোড় নিবে। 


আর্গুমেন্ট আর ডিবেটে ফারাক এইটুকুই যে আপনি ভিন্নমতকে কতটুকু আর কিভাবে রেস্পেক্ট করছেন। আপনি, আমি বা আমরা অনেক সময় পয়েন্টলেস আর্গুমেন্ট করি, ফ্যালাসির মাধ্যমে সিচুয়েশনকে নিজের ফেবারে নেয়ার জন্য ডিস্কাশনকে ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা করি।

আর্গুমেন্ট আর ডিবেটে হেরে যাওয়া আর জিতে যাবার একটা ব্যাপার থাকে লজিকের সিঁড়ি বেয়ে কে কতটুকু প্রভাবিত করতে পারলো তার ওপর। মতবিরোধ ই এই ক্ষেত্রে মূলত প্রধান ভূমিকা পালন করে।

আবেগ এবং বিবেক এর পার্থক্য হচ্ছে যুক্তির কাছে কে হার মেনে যাচ্ছে আর কে হার মানিয়ে দিচ্ছে। আমাদের নিজেদের প্রতিনিয়ত নিজেদের সাথে ডিস্কাশন করতে হয়। আমাদের গিভেন অপশন থেকে অপশন চয়েস করতে হয়। আমরা যে অপশন চয়েস করি সেটার জাস্টিফিকেশন আমাদের কাছে থাকতে হয়। বিবেকের কাছে জাস্টিফাইড হলে সেটা ভালো আর আবেগের প্রভাবে হলে তার জন্য জাস্টিফিকেশন খুঁজে বের করতে হয়।

আমরা যদি নিজেরা নিজেরদের সাথের ডিস্কাশনকে আর্গুমেন্টে কনভার্ট হওয়া থেকে বিরত রাখতে না পারি তাহলে অন্য কারো সাথে কিভাবে কনভার্সেশন করবো! যেকোন ডিসিশন আর্গুমেন্ট থেকে আসে না, আসে ডিস্কাশন থেকে। ডিবেট থেকে আসে রেসাল্ট আর আর্গুমেন্ট থেকে আসে কম্প্রোমাইজ।

ফ্যালাসিমুক্ত ডিবেট এবং কম্প্রোমাইজমুক্ত আর্গুমেন্ট হোক। এই রুল ফলো করে হোক লজিক্যাল কনক্লুশন। আর যদি লজিকের সিঁড়ি বেয়ে ওঠা না যায়, বিবেকের ওপর ছেড়ে দিবো। ভ্যালিড জাস্টিফিকেশন অটো জেনারেট হবে।

#থটস্

Comments

Popular posts from this blog

স্মৃতি

মনের আকাশে মেঘ

এত তিতা লাগে কেন?