সুইসাইড ইজ নট প্রমোটেড

আত্মহত্যার খবর আমার সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিউজফিডে এসেছে গত ৫ বছরে; যার মধ্যে বেশ কয়েকটা স্টুডেন্টদের এবং সেই প্রসঙ্গেই লিখছি। সুইসাইডের ব্যাপারে  নিজের ভিউটা প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করবো।  

মেধাবী/অমেধাবী স্টুডেন্ট সেই বিতর্ক নেই। আমার মনে হয় প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি না থাকলে, হতাশার ফাঁদে পড়ে এই পাপের পথে পা দেয়া। তাদের আর্থ সামজিক অবস্থা, মানসিক স্বাস্থ্য, চারপাশের পরিস্থিতি এইগুলো কি কেউ এনালাইসি করে? কিভাবে করবে, এছাড়াও তাদের অনেক না বলার মত কারণ ছিলো যেটা মৃত লাশের সাথে হারিয়ে গেছে। কেউ জানবে না। জানা সম্ভবও না। 

 আত্মহত্যা কি সব সমস্যার সমাধান হয়? নাকি আরো সমস্যার জন্ম দেয়? কেউ বাবা-মা কে দায়ী করে, কেউ সমাজ কে, কেউ শিক্ষা ব্যাবস্থাকে, কেউ ফ্রেন্ড সার্কেলকে দায়ী করে। সমাধান কেউ দিচ্ছে কি? দিচ্ছে। যেটা সমাধানের পথ হতে পারে বলে মনে হয় এই রকম একাধিক সমাধান দেখেছি। কাউন্সেলিং, রিলিজিয়ন, কমিউনিটি আরো অনেক ভারী ভারী ইংরেজি শব্দ। যিনি মৃত তাকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারছে না।

আমি যেটা মনে করি এক্ষেত্রে ধর্ম আমাদের এই হতাশার ফাঁদে পা দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে। ধর্মের অনুশাসন আমাদের এই হতাশাকে কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে সহায়তা করে। হতাশা জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। হতাশা না থাকলে সাফল্যের আনন্দ ম্লান হয়ে যেত। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌ তা'য়লার প্রতি অগাধ ভক্তি এবং বিশ্বাস আমাদের যে কোন প্রতিকূল কিছুতে ধৈর্য্য ধারণে অনুপ্রাণিত করে। ধর্মগ্রন্থের ভুমিকা এখানেই। একটি গাইডলাইন। আমি যদি না পেয়ে থাকি তাহলে খুঁজতে হবে। যিনি বুঝতে সাহায্য করবেন তার সান্নিধ্যে যাবার চেষ্টা করতে হবে। 

(চলবে)

 

Comments

Popular posts from this blog

স্মৃতি

মনের আকাশে মেঘ

এত তিতা লাগে কেন?