এক নাবিকের গল্প বলি

এক নাবিকের গল্প বলি।
এক নাবিক তার মাঝি-মাল্লাদেরসহ সমুদ্র ভ্রমনে বের হল। মাঝদরিয়ায় অনেক বিশাল এক ঝড় উঠলো। ঝড়ে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হলো না। শুধু জাহাজের পাল ছিঁড়ে গেল। জাহাজে বৈঠার অভাব ছিল না।তাই সবাই তেমন কিছু মনে করল না।কারণ বাতাসের সাহায্যে যে এগিয়ে যাওয়াটা সেটা না হয় পাওয়া যাবে না। কিন্ত তাদের কাছে যে পরিমাণ বৈঠা আছে তাতে চলতে কোন সমস্যাই হবে না।সবাই নাবিককে বুঝিয়ে দিল যে, ব্যাপার না বৈঠা আছে। সুতরাং গন্তব্যে পৌঁছাতে কোন সমস্যা হবে না। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সবাই বৈঠার সাহায্য নিল। খুব সহজেই পালের ছিঁড়ে যাওয়াটা সবাই ভুলে গেল।
পাল বিহীন নৌকা আর লক্ষ্য ছাড়া জীবনে কোন পার্থক্য নাই। ছোট বেলায় এই জেনে এসেছি। ছেঁড়া পালেও বৈঠার সাহায্য নিয়ে জাহাজ অবশ্যই তার গন্তব্যে পৌঁছাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু দুঃখ একটাই যে, কেউ নতুন করে পাল লাগানোর কথা ভাবল না বা বলল না। সবাই সহজেই ছেঁড়া পালের বিকল্প খুঁজে নিল। নাবিকের মন ভালো নেই ছেঁড়া পালের জন্য। জাহাজ গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নাবিক কিছু মাঝিদের থেকে ছেঁড়া পালের ব্যপারে সহায়তা আশা করেছিল। কিন্তু আশায় গুঁড়ে বালি। সবাইদের মত ঐ কিছু মাঝিও তাদের হাতে বৈঠা তুলে নিল। নাবিক বুঝে নিল তাদের মনোভাব আর নাবিকের মনোভাবের বিস্তর ফারাক।
ঐ পাল ছেঁড়া নৌকার নাবিক আর কেউ না। আমি নিজেই। আল্লাহ্‌ ভরশা। আই অ্যাম অ্যা স্ম্যাক টকার অ্যান্ড অ্যা স্কাই ওয়াকার। আল্লাহ্‌ চাইলে পাল লাগতে কত দেরি!
‪#‎MIKParadox‬

Comments

Popular posts from this blog

স্মৃতি

মনের আকাশে মেঘ

এত তিতা লাগে কেন?