Posts

Showing posts from May, 2015

ঘড়ি (শেষ পর্ব)

©MIKParadox  । ৫ । -কিরে কোন দিকে খেয়াল তোর? বান্ধবীর ডাকে হতচকিয়ে গেল ফারিহা। -কতক্ষণ ধরে তোকে যেন কেমন মনমরা হয়ে বসে আছিস।চল আজকে সবাই ইসরাত ম্যামের কাছে যাব ফিজিওলজি বুঝতে হবে,চল। -চল। হোস্টেলের রাস্তা শেষ করে ক্যাম্পাসের রাস্তায় আসা মাত্রই পিছন থেকে কে যেন ডাক দিল “এই যে চন্দ্রমুখী?” বান্ধবীরা সবাই এগিয়ে গেলেও থমকে দাঁড়াল ফারিহা। -কিরে থামলি কেন? -কে যেন ডাক দিল।পিছনে ফিরে দেখল সম্রাট দাঁড়ানো।বিস্মিত একটা লুক দিয়ে আবার হাঁটা শুরু করল। -কিরে!!!!! কে? আলতো করে পেটে একটা গুঁতো দিল একজন। আবার চন্দ্রমুখী!!!!!! -কিছু না সামনে তাকা আর হাট। -কেন ইভটিজার নাকি দিবো চিৎকার? - না না। পিছন থেকে ডাক ভেসে আসছে “এই যে চন্দ্রমুখী?” - আচ্ছা তোরা যা আমি আসছি। - ও ভিতরে ভিতরে টেম্পু চালাও আমারা কইলে হরতাল????আমারাও থাকি। -না। আমি পড়ে সব বলব।এখন তোরা যা। ঠিক আছে।হাসতে হাসতে বাকিরা চলে গেল। পিছিয়ে যাচ্ছে ফারিহা।মনে মনে ভাবছে কাজটা কি ঠিক হচ্ছে? সাতপাঁচ ভাবে গেল সামনে। -আমি চন্দ্রমুখী না।আর আমাকে ডাকছেন কেন? আপনিতো আমাকে চেনেনই না!!!! ঐ দিন কথা শেষ না করে হঠাৎ চল...

ঘড়ি (দ্বিতীয় পর্ব)

©MIKParadox  ।  ৩ । দুপুরে প্রফ পরীক্ষা দিয়ে রুমে আসল ফারিহা।পরীক্ষা বেশ একটা ভাল হয় নাই। স্যার দয়া করলে পাশ মার্ক চলে আসবে। আজকে বিকেল তিনটায় দেখা করতে যাবে সম্রাটের সাথে। গোসল করে খাবার খেয়ে টকটকে লাল দেখে একটা শাড়ি বের করল। চুল গুলো খোঁপা বেধে নিল। চোখে গাঢ় করে কাজল দিল।আচ্ছা এতো সাজগোজ করছি কেন? নিজেকে নিজে প্রশ্ন করল ফারিহা। সম্রাট ফাইনাল প্রফ নিয়ে খুবই চিন্তিত। মেডিসিন কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না। হঠাৎ মার কথা মনে পড়ে গেল।ফোন দিল মাকে। -হ্যালো আম্মু? -আব্বা ভাল আছো।কি কর? -এই তো আম্মু।পরীক্ষা নিয়া খুব চিন্তায় আছি।পড়তে বসছি।মাথায় কিছু ঢুকতেছে না। -সমস্যা নাই আব্বা।আমি জায়নামাজে বসে প্রতি ওয়াক্তে দোয়া করি। তা আব্বা নামায পড়  তো রীতিমত? -জি আম্মু পড়ি তো । - শোন আব্বা। নামায পড়ে সুরা ইয়াসিন পরবা ।  এ কবার পড়লে ১০ বার কোরআন খতমের সওয়াব পাবা ।  আল্লাহ্‌ সব সহজ করে দিব। কয়দিন বাকি পরীক্ষার ? -এই তো আম্মু আর তিন দিন। আব্বু কেমন আছে? বাসার সবাই ভাল? -আল্লাহ্ রাখসে।তোর আব্বা অপেক্ষায় আছে তুই কবে পাশ করবি।তোর আব্বা তোর জন্য চেম্বার এর নামও ঠ...

ঘড়ি (প্রথম পর্ব )

©MIKParadox । ১। চেয়ারে বসে আছেন আম্বিয়া খাতুন।সিরিয়াল দিয়ে বসে আছেন আধা ঘণ্টা।সামনে থেকে একজন রিসিপসনিস্ট দাঁড়িয়ে বলল আন্টি আপনি এবার যান। দরজার ওপর নীল নেমপ্লেটে সাদা দিয়ে লিখা ডাঃ ফাহমিদা আক্তার(ফারিহা),মেডিসিন কন্সাল্ট্যান্ট। মহিলা ভালো করে পড়ে দেখল।দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি বসেন। বলল ফারিহা। হাল্কা কথা বার্তা বলে রোগীর সাথে সহজ হয়ে নিল। আন্টি এবার বলেন আপনার কি সমস্যা। আম্বিয়া খাতুন তার সমস্যার কথা বলা শুরু করল। -দেখ তো মা হাতের আঙ্গুল গুলা ব্যাথা করে। কিছু ধরতে পারি না। আমার আবার বাতের ব্যাথা আছে। - দেখি আপনার হাত।হাত দেখতে দেখতে বলল আপনার রিমটয়েড আথ্রাইটিস হয়েছে। সমস্যা নাই আন্টি।শুধু একটু ওষুধ নিয়মিত খাবেন। বাকিটা আল্লাহ্‌ ভালো করে দিবেন ইনশাআল্লাহ্‌। মহিলা হাত সরিয়ে নেয়ার আগে হঠাৎ তার হাতের দিকে খেয়াল হলও ফারিহার। আন্টি কিছু মনে না করলে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?বল মা। তুমি তো ডাক্তার, তুমি জিজ্ঞেস করতেই পার। না মানে আন্টি আপনার ডান হাতের ঘড়িটা তো ছেলেদের তাছাড়া এই ঘড়িটা তো অনেক আগের এবং আমার পরিচিত লাগছে। ও আচ্ছা। শোনো মা এইটা তোমার আঙ্কেলের ঘড়ি।...

একজন স্বার্থপর মানুষের দর্শন কপচানো

আমি একজন স্বার্থপর মানুষ।  স্বার্থপর মানুষগুলোর আশেপাশে প্রায় সবাই ই স্বার্থপর থাকে। তাই আমাদের মত মানুষদের আর ভালো হয়ে ওঠা হয় না।  ধন্যবাদ আমার আশে পাশের সেই নিঃস্বার্থ মানুষগুলোকে যারা এখনো আশেপাশে আছে এবং থাকবে। তারা এখনো নিঃস্বার্থ ভাবেই তাদের ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।  কিছু মানুষকে জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছে করে তোমরা এতো ভালো কেন? কিছু মানুষকে ধাক্কা দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে তোমরা এমন কেন?কিছু মানুষকে তাদের কুৎসিত আচরণের জবাব কুৎসিত ভাবে দিতে ইচ্ছে করে কিন্তু কুকুর মানুষকে কামড় দিলেও মানুষ কি কুকুরকে কামড়াবে??  কথায় আছে "শিখছ কোথায়? ঠেকছি যেথায়।।" কাছের মানুষগুলো কতটা কাছে আর কতটা দূরে সেটা পরীক্ষা করার জন্য আইনস্টাইন হওয়ার দরকার নাই। দরকার ঠাণ্ডা মাথায় ভাবার। দরকার মানুষকে চেনার। খুব ভালো করে চেনার। হাতি কাদায় পড়লে চামচিকাও লাথি মারে আমরা জানি। মানুষ তার অতীত ভুলে যায়। রোম একদিনে গড়ে উঠে নাই। কিন্তু কাছে মানুষগুলা যখন অচেনা মানুষের মত ব্যবহার করে তখন মনে হয় পৃথিবীতে এক আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কেউ নাই। হাতের পাঁচ আঙুল তো আর সমান না। সব ডুবে তো আর শালুক পাওয়া যায় ...