স্বপ্রণোদিত ভাবনা-২
সময়ের সাথে সাথে অবান্তর অনেক কিছু লিখে যাচ্ছি ইদানীং। কম লিখা দরকার।
(১) নিচুতলার মানুষেরা ভাবে,উঁচুতলার মানুষরা অনেক সুখী। আবার ভাইস-ভার্সা ও। যদিও জরিপে দেখা যায় উঁচুতলার মানুষরাই অনেক অসুখী হয়ে থাকে। জনপ্রিয় গানের কলিতে দেখা যায়, "সুখেরই পৃথিবী,সুখেরই অভিনয়;যত আড়ালে রাখো,আসলে কেউ সুখী নয়।।" তবে সুখ ব্যাপারটা আপেক্ষিক। ঠিক মুদ্রার দুই পিঠের মত। কেউ লাখ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করে শান্তিতে ঘুমায় আবার কারো হয় না। কেউ কেউ পরীক্ষার চাপে ঘুমাতে পারে না আবার কেউ না পড়েই ঘুমিয়ে থাকে। একই ঘটনায় যে সবাইকে সুখী হতে হয় এমনটা কোথাও বলা নেই। ঠিক দুঃখের বেলায় ও তাই।
(২) নিচুতলার বা উঁচুতলার অনেকেই নিজেরদের জীবনের পারস্পরিক পরিবর্তন আশা করে বা পরিবর্তিত অবস্থায় নিজেদের দেখতে চায় কিন্তু আসলে কেউ মনে হয় সুখী হতে চায় না। যে সুখী মানুষ তার কাছে তলার উপর নিচ কোন ব্যাপার না। সে সব তলাতেই সুখী। জীবনটা যেমন সুন্দর তেমন অনেক বিচিত্রও। আমাদের স্মৃতি যেমন কিছু সাধারণ ব্যাপার পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে মনে রাখে আবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ভুলিয়ে দেয়। উঁচু নিচু দুই তলাতেই ছিলাম, দুই তলার মানুষের সাথেই দেখা হয়েছে। সবাই উঠা নামার মধ্যে থাকে জীবনের এই লিফটে।
(৩) আপনার আমার অসুস্থতাই মনে করিয়ে দেয় যে সুস্থতায় কিভাবে জরুরী কাজ গুলো বাদ দিয়ে গিয়েছি। আজ অসুস্থ বলে সে গুলো করা যাচ্ছে না। "দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না।" লাখ টাকার রোলেক্স আর কম দামী কেসিও দুইটাই ঘড়ির সময় সঠিক দেখায়, যদি এবং কেবল যদি ব্যটারী ঠিক থাকে। [এবং মেশিনও] রূপালি পর্দার কাহিনী আর বাস্তবতা এক না। প্রায়ই আমরা সেগুলো দেখতে দেখতে আর বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে নিতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলি।
(৪) একটা বিখ্যাত উক্তি আছে,"কথা বলা শিখতে একজন মানুষের দুই বছর লাগে, কিন্তু 'কি বলা উচিত নয়' তা শিখতে লাগে সারা জীবন।" এই প্রসঙ্গেই লিখছি।
আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী যারা আমার বলা কথার দ্বারা কোনভাবে কখনো আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। হয়ত কথা প্রসঙ্গে বা পরিস্থিতি বা তৎকালীন মন মানসিকতায় অনেক কিছু বলে ফেলি/ফেলেছিলাম।
পরে মনে হয়/হয়েছে যে বলাটা সঠিক ছিল না। মাঝে মাঝে আমি ভাবি যে আমি যদি আমার বলা কিছু কথা ফিরিয়ে নিতে পারতাম তাহলে নিজের ভালো লাগত। সেই বক্তা আর এই আমি অভিন্ন হলেও তখনকার পরিস্থিতির চিন্তাধারায় বিভিন্ন ছিলাম।
(৫) আমাদের ব্যাখাতীত ব্যাপারগুলো আসলেই অব্যক্ত রয়ে যায় অবুঝ শ্রোতাদের জন্য। A person is easily erasable and replaceable being. How much worth can a person owe the World? The World owes nothing.
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণঃ পোস্টদাতার চিন্তাধারায় ব্যক্তিগত মতামতের বহিঃপ্রকাশ। কেউ আঘাত পেলে বা দ্বিমত পোষণ করতেই পারে,তার দায়বদ্ধতা পোস্টদাতা রাখে না। অগ্রিম ধন্যবাদ।
(১) নিচুতলার মানুষেরা ভাবে,উঁচুতলার মানুষরা অনেক সুখী। আবার ভাইস-ভার্সা ও। যদিও জরিপে দেখা যায় উঁচুতলার মানুষরাই অনেক অসুখী হয়ে থাকে। জনপ্রিয় গানের কলিতে দেখা যায়, "সুখেরই পৃথিবী,সুখেরই অভিনয়;যত আড়ালে রাখো,আসলে কেউ সুখী নয়।।" তবে সুখ ব্যাপারটা আপেক্ষিক। ঠিক মুদ্রার দুই পিঠের মত। কেউ লাখ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করে শান্তিতে ঘুমায় আবার কারো হয় না। কেউ কেউ পরীক্ষার চাপে ঘুমাতে পারে না আবার কেউ না পড়েই ঘুমিয়ে থাকে। একই ঘটনায় যে সবাইকে সুখী হতে হয় এমনটা কোথাও বলা নেই। ঠিক দুঃখের বেলায় ও তাই।
(২) নিচুতলার বা উঁচুতলার অনেকেই নিজেরদের জীবনের পারস্পরিক পরিবর্তন আশা করে বা পরিবর্তিত অবস্থায় নিজেদের দেখতে চায় কিন্তু আসলে কেউ মনে হয় সুখী হতে চায় না। যে সুখী মানুষ তার কাছে তলার উপর নিচ কোন ব্যাপার না। সে সব তলাতেই সুখী। জীবনটা যেমন সুন্দর তেমন অনেক বিচিত্রও। আমাদের স্মৃতি যেমন কিছু সাধারণ ব্যাপার পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে মনে রাখে আবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ভুলিয়ে দেয়। উঁচু নিচু দুই তলাতেই ছিলাম, দুই তলার মানুষের সাথেই দেখা হয়েছে। সবাই উঠা নামার মধ্যে থাকে জীবনের এই লিফটে।
(৩) আপনার আমার অসুস্থতাই মনে করিয়ে দেয় যে সুস্থতায় কিভাবে জরুরী কাজ গুলো বাদ দিয়ে গিয়েছি। আজ অসুস্থ বলে সে গুলো করা যাচ্ছে না। "দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না।" লাখ টাকার রোলেক্স আর কম দামী কেসিও দুইটাই ঘড়ির সময় সঠিক দেখায়, যদি এবং কেবল যদি ব্যটারী ঠিক থাকে। [এবং মেশিনও] রূপালি পর্দার কাহিনী আর বাস্তবতা এক না। প্রায়ই আমরা সেগুলো দেখতে দেখতে আর বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে নিতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলি।
(৪) একটা বিখ্যাত উক্তি আছে,"কথা বলা শিখতে একজন মানুষের দুই বছর লাগে, কিন্তু 'কি বলা উচিত নয়' তা শিখতে লাগে সারা জীবন।" এই প্রসঙ্গেই লিখছি।
আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী যারা আমার বলা কথার দ্বারা কোনভাবে কখনো আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। হয়ত কথা প্রসঙ্গে বা পরিস্থিতি বা তৎকালীন মন মানসিকতায় অনেক কিছু বলে ফেলি/ফেলেছিলাম।
পরে মনে হয়/হয়েছে যে বলাটা সঠিক ছিল না। মাঝে মাঝে আমি ভাবি যে আমি যদি আমার বলা কিছু কথা ফিরিয়ে নিতে পারতাম তাহলে নিজের ভালো লাগত। সেই বক্তা আর এই আমি অভিন্ন হলেও তখনকার পরিস্থিতির চিন্তাধারায় বিভিন্ন ছিলাম।
(৫) আমাদের ব্যাখাতীত ব্যাপারগুলো আসলেই অব্যক্ত রয়ে যায় অবুঝ শ্রোতাদের জন্য। A person is easily erasable and replaceable being. How much worth can a person owe the World? The World owes nothing.
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণঃ পোস্টদাতার চিন্তাধারায় ব্যক্তিগত মতামতের বহিঃপ্রকাশ। কেউ আঘাত পেলে বা দ্বিমত পোষণ করতেই পারে,তার দায়বদ্ধতা পোস্টদাতা রাখে না। অগ্রিম ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment