আগডুম বাগডুম
আমাদের অনেক গুলো ডিঙি নৌকা এক অকূল পাথারে। আমরা পরীক্ষা করি, চেষ্টা করি। জোয়ার-ভাটার সময় অপেক্ষা করি। পাল বুনি , নতুন বা পুরান নৌকা পাড়ে ভিড়াতে দেশ বিদেশ ঘুরি। জমিতে ফসলের আবাদে ইচ্ছুক আমরা। বীজ বপ্পন করি বা না করি, ফসলের আশা করি। জমিতে সেচ দেই, সার দেই। ফসল ফললে উদযাপন করি। না ফললে গাল দেই ইচ্ছেমত করে।
আমাদের জীবনের অনেকটা সময়ই যায় অন্যের জীবন নকল করে করে চলতে। একবার এর তো আরেকবার ওর। নিজের জীবনে আবার ফিরে আসি অন্যের জীবনে চলতে ফিরতে বিরক্ত হয়ে গেলে। কিন্তু একসময় বার বার এইরকম নকল করতে করতে নিজেরটা হারিয়ে ফেলি। তখন বার বার নকল করেই চলতে হয়। নিজেরটা হারিয়ে খুঁজি, অন্যের জীবন যাপন করি। চড়ুই কেন লাফিয়ে চলে আমরা তো জানিই!
আমাদের হাতে গোনা নাটাই আর বেবাক ঘুড়ি। সুতায় মাঞ্জা দেই সময় করে হাত কেটে। কত উপরে যায় ঘুড়ি খুব অাগ্রহ করে দেখি। বাকাট্টা হলে আবার নতুন করে ঘুড়ির সুতো লাগাই। আমরা মানুষ দেয়াল গড়ি, আমরাই দেয়াল গুড়িয়ে দেই। কনক্রিট আর পাথর দিয়ে দেয়াল মজবুত করে বানাই, ডিনামাইট বা মাইনিং ব্যবহার করে ধুলিসাৎ করে ফেলতে পারি। দেয়ালের অনেক ক্ষমতা। দেয়ালের নিজের আর দেয়ালের ওপর।
আমাদের আশেপাশের মানুষদের সবারই একটা বৃত্ত আছে। আপনাকে হয় তাদের বৃত্তে আসতে হবে নয়ত আপনার বৃত্তে তাদের আসতে হবে। অনেকজন মিলে বৃত্ত হয়। যার নাই বা যে পারে না আসতে সে বেমানান, বিন্দু হয়ে রয়ে যায়। বৃত্তে আর বিন্দুতে সরলরেখা টানা না হলে বাদের খাতায়।
আমরা ভাবি জীবন অনেক সহজ। যার বাগান ভরপুর তার কপালে সোনালী আঁশ আর যার বাগান ছারখার তার কপালে বাঁশবাগান। আমরা তীর চালাতে ওস্তাদ আর বিঁধতে নবীন। কত চরাই-উৎরাই পার হয়ে জীবন আগায় সেটা যার জুতা পায়ে সেই হেঁটে বুঝে। যারা বলে বুঝে তারা ধোঁকাবাজ। তবে জীবন আসলেই অনেক কঠিন না, আমরাই কঠিন করে ফেলি।
ডানাগুলো পিঠেই রয়ে গেলো। ডানা থেকেও ওড়া হলো না আর। নিজের খেয়ালের ভুলে না, নিজের অবহেলাতেই। পিঠে ডানা গজানো অনেক কষ্টের না। ডানা পিঠেই আছে তাও ওড়া হয় না। একসময় ডানা খসে পড়ে যায়। কোন সময়তো ডানা আর গজায়ই না। ধুর! শুধু ডানা নিয়ে প্যাঁচাল। মানুষ কি পাখি নাকি?
আমরাই আগুন আমরাই পানি। আমরা পুড়ি-পোড়াই, নিভাই-ভাসাই। সময়ের পরশপাথরে কেউ কিছুতেই নির্দিষ্ট নাই। আজ এই তো কাল সেই। আজকে উড়ি তো কালকে ডুবি। আজকে ভাসি তো কালকে গড়াই। বড়ই আজব উপরের খেলা,খেলার বড়ই সৌন্দর্য!
অনেক কিছুই দিনে দিনে হারিয়ে যায়। আমি দেখি,ভাবি। আমিও টুপ করে একদিন হারিয়ে যাবো। কি করলাম এই বদ্ধ ব্যবধিতে! কতটুকু ডানা মেললাম এই অম্বরে! এই পৃথিবীতে এত জ্ঞান আর আমার নগণ্য। লজ্জা জাগে নিজের নিজেকে নিয়ে এই জ্ঞানী পৃথিবীর সামনে। নিজের গড়িমার তুচ্ছতায় নিজেকে বড় হাস্যকর লাগে। হা! হা! হা!
আমাদের নৌকা, জমি, দেয়াল, ফসল, ঘুড়ি,ডানা আর বৃত্ত নিয়ে আমরা অনেক বড়াই করি। চলে গেলে কি থাকবে শুনি? মাটির খেলনা মাটি দিয়েই গড়া, হীরা দিয়ে না।
বিঃদ্রঃ এইটা খেলার ছলে ডিমের খোসায় লিখা। ভেতরের ডিমের খবর লেখকের জানা নাই। অনেক দিনের তৃষ্ণায় আবেগি লেখকের আবগে চুইয়ে চুইয়ে পরছে। আবগারি শুল্কে লেখকের হর্ষ বিষাদের খতিয়ান মাপা হয় নাই। রূপকের অন্যরকম উপস্থাপনের নিদর্শন এই আগডুম বাগডুম। পলিমরফিক আলিগরি।
#MIKParadox
আমাদের জীবনের অনেকটা সময়ই যায় অন্যের জীবন নকল করে করে চলতে। একবার এর তো আরেকবার ওর। নিজের জীবনে আবার ফিরে আসি অন্যের জীবনে চলতে ফিরতে বিরক্ত হয়ে গেলে। কিন্তু একসময় বার বার এইরকম নকল করতে করতে নিজেরটা হারিয়ে ফেলি। তখন বার বার নকল করেই চলতে হয়। নিজেরটা হারিয়ে খুঁজি, অন্যের জীবন যাপন করি। চড়ুই কেন লাফিয়ে চলে আমরা তো জানিই!
আমাদের হাতে গোনা নাটাই আর বেবাক ঘুড়ি। সুতায় মাঞ্জা দেই সময় করে হাত কেটে। কত উপরে যায় ঘুড়ি খুব অাগ্রহ করে দেখি। বাকাট্টা হলে আবার নতুন করে ঘুড়ির সুতো লাগাই। আমরা মানুষ দেয়াল গড়ি, আমরাই দেয়াল গুড়িয়ে দেই। কনক্রিট আর পাথর দিয়ে দেয়াল মজবুত করে বানাই, ডিনামাইট বা মাইনিং ব্যবহার করে ধুলিসাৎ করে ফেলতে পারি। দেয়ালের অনেক ক্ষমতা। দেয়ালের নিজের আর দেয়ালের ওপর।
আমাদের আশেপাশের মানুষদের সবারই একটা বৃত্ত আছে। আপনাকে হয় তাদের বৃত্তে আসতে হবে নয়ত আপনার বৃত্তে তাদের আসতে হবে। অনেকজন মিলে বৃত্ত হয়। যার নাই বা যে পারে না আসতে সে বেমানান, বিন্দু হয়ে রয়ে যায়। বৃত্তে আর বিন্দুতে সরলরেখা টানা না হলে বাদের খাতায়।
আমরা ভাবি জীবন অনেক সহজ। যার বাগান ভরপুর তার কপালে সোনালী আঁশ আর যার বাগান ছারখার তার কপালে বাঁশবাগান। আমরা তীর চালাতে ওস্তাদ আর বিঁধতে নবীন। কত চরাই-উৎরাই পার হয়ে জীবন আগায় সেটা যার জুতা পায়ে সেই হেঁটে বুঝে। যারা বলে বুঝে তারা ধোঁকাবাজ। তবে জীবন আসলেই অনেক কঠিন না, আমরাই কঠিন করে ফেলি।
ডানাগুলো পিঠেই রয়ে গেলো। ডানা থেকেও ওড়া হলো না আর। নিজের খেয়ালের ভুলে না, নিজের অবহেলাতেই। পিঠে ডানা গজানো অনেক কষ্টের না। ডানা পিঠেই আছে তাও ওড়া হয় না। একসময় ডানা খসে পড়ে যায়। কোন সময়তো ডানা আর গজায়ই না। ধুর! শুধু ডানা নিয়ে প্যাঁচাল। মানুষ কি পাখি নাকি?
আমরাই আগুন আমরাই পানি। আমরা পুড়ি-পোড়াই, নিভাই-ভাসাই। সময়ের পরশপাথরে কেউ কিছুতেই নির্দিষ্ট নাই। আজ এই তো কাল সেই। আজকে উড়ি তো কালকে ডুবি। আজকে ভাসি তো কালকে গড়াই। বড়ই আজব উপরের খেলা,খেলার বড়ই সৌন্দর্য!
অনেক কিছুই দিনে দিনে হারিয়ে যায়। আমি দেখি,ভাবি। আমিও টুপ করে একদিন হারিয়ে যাবো। কি করলাম এই বদ্ধ ব্যবধিতে! কতটুকু ডানা মেললাম এই অম্বরে! এই পৃথিবীতে এত জ্ঞান আর আমার নগণ্য। লজ্জা জাগে নিজের নিজেকে নিয়ে এই জ্ঞানী পৃথিবীর সামনে। নিজের গড়িমার তুচ্ছতায় নিজেকে বড় হাস্যকর লাগে। হা! হা! হা!
আমাদের নৌকা, জমি, দেয়াল, ফসল, ঘুড়ি,ডানা আর বৃত্ত নিয়ে আমরা অনেক বড়াই করি। চলে গেলে কি থাকবে শুনি? মাটির খেলনা মাটি দিয়েই গড়া, হীরা দিয়ে না।
বিঃদ্রঃ এইটা খেলার ছলে ডিমের খোসায় লিখা। ভেতরের ডিমের খবর লেখকের জানা নাই। অনেক দিনের তৃষ্ণায় আবেগি লেখকের আবগে চুইয়ে চুইয়ে পরছে। আবগারি শুল্কে লেখকের হর্ষ বিষাদের খতিয়ান মাপা হয় নাই। রূপকের অন্যরকম উপস্থাপনের নিদর্শন এই আগডুম বাগডুম। পলিমরফিক আলিগরি।
#MIKParadox
Comments
Post a Comment