লাইফ অ্যাজ IDE

দিন দিন কোর্স আপডেটেড হচ্ছে, নতুন কোর্স,নতুন সেমিস্টার, নতুন মুখ। কিন্তু ব্যাকেন্ডে সেই পুরনো মুখই থেকে যায়। নতুন IDE এর সাথে পরিচয় হয়। নতুন করে সেই পুরনো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজেই কোড লিখাতে হয় কোডের নতুন ভার্শানের আপডেটেড লাইব্রেরির সাথে। আবার অনেক সময় সেই ট্র্যাডিশনাল কোড গুলোই লিখে যেতে হয়।ব্যাকডেটেড IDE কেউ প্রেফার করে না কম্পিটিবিলির প্রব্লেমের কারণে, আজ আপডেটেড IDE চলে আসছে বলে। তবে Old is Gold। পুরনো কোডের হাত ধরেই আজকে নতুন কোডে সহজে মিশে যাই। আবার পুরনো কোডে ডুবে থাকার জন্য নতুন কোডে হাবুডুবু খাই। তবে বেসিক কোডিং সবখানেই রয়ে যায়। অনেক সফটওয়্যারেরই বাজারজাত করার সময় ব্যাকওয়ার্ড বা ফরওয়ার্ড কম্পিটিবিলির ব্যাপারটা আজকাল মাথায় রাখতে হয়।

আপডেটেড মানুষদের ভীড়ে এইরকম মানুষও একসময় ব্যকডেটেড হয়ে যায়। তাদের সাথে অন্য মানুষদের কম্পিটিবিলিটির প্রব্লেম দেখা যায়। মানুষ আরো আপডেটেড হয়ে যায়। আমাদের বাবা-মা হয়ত অনেকসময় আমাদের থেকে ব্যকডেটেড হয়ে যায়। তারা তো আর অ্যান্ড্রয়েড ফোন হাতে নিয়ে তাদের সময়ে দেখে নাই তাই তারা ব্যকডেটেড! আমরা তাদের সন্তান হয়েও ফরওয়ার্ড কম্পিটিবিলি নিয়ে পরে থাকি। ভুলে যাই আজকের এই ফ্রেমওয়ার্কের ভার্শান ওয়ান পয়েন্ট ও কে! 

কিন্তু আমাদের এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে যে পুরো ব্যাপারটা কখনোই শুধু IDE নিয়ে না। আমাদের চারপাশেকে যদি IDE এর উপমায় অলংকৃত করি তাহলে আমাদের আব্বু-আম্মু হচ্ছে ঐ IDE এর প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। আমরা IDE এর text editor মাত্র। আমাদের প্রিয় মানুষ বা সার্কেলের মানুষেরা হচ্ছে তার সাপোর্টিং লাইব্রেরিগুলো। সফটওয়্যার আপডেট হলে অনেক ফিচার অ্যাড হয় আর অনেক ফিচার অবসুলেট হয়ে যায়। কিন্তু আমরা তো মানুষ,সফটওয়্যার না। আমাদেরকেও ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরওয়ার্ড কম্পিটিবিলির দুটো ব্যাপারই মাথায় রাখা দরকার। 

আশেপাশের সব কিছু বদলে গেছে। স্থান,কাল,পাত্র সবাই বদলে গেছে। আমিও হয়ত বাদ যাইনি সবার দলে দলে।পুরোনো ঘড়িটা সময় ঠিক দেয়না বলে নতুন ঘড়ির আগমন হয়। পুরনো ঘড়ি পরে থাকলো টেবিলের ড্রয়ারের ঐ কোনাটায়। তার উপর কিছু লিখার প্যাড বা কাগজ। নতুন ঘড়ির টিক টিক শব্দ পুরনো ঘড়িকে দিন দিন স্মৃতির পাতা থেকে মুছে দিতে চায়।হঠাৎ একদিন ঘড়িটার কথা ভুলে যাই আমরা,ঘড়িটা হয়ত কখনোই ছিল না। 

আমরা মানুষ স্মৃতির পাতায় বেঁচে থাকি,আছি,থাকবো হয়ত। মারা গেলে Coco মুভির মত হয়ত একদিন কেউ থাকবে না মনে করার। তখন নীল আকাশের ঐ পারেও হারিয়ে যাবো। দুই মুসাফির নামে শওকত ওসমানের একটা গল্প ছিল নবম শ্রেনীর বাংলা বইয়ে*। SSCএর সিলেবাস অনুসারে গল্পটা পাঠ্য ছিল না,কিন্তু বইয়ে ছিল। গল্পটার শিক্ষায় দীক্ষিত হওয়া খুব দরকার। নতুন নতুন খেলানার ভিড়ে ছিঁড়ে যাওয়া খেলনার শখ শিশুর বেশিদিন থাকে না। ঠিক যেন Toy Storyর ছেঁড়া শেরিফের মত। বাবা-মার দেয়া নিজের নামটা ছাড়া সবই পরিবর্তনশীল**।

*আমাদের পুরাতন সিলেবাসের।
 **এফিডেফিড ব্যতিক্রম।
#MIKParadox

Comments

Popular posts from this blog

স্মৃতি

মনের আকাশে মেঘ

এত তিতা লাগে কেন?