খাঁচার পাখির
কখনো পাখি পোষ মানানোর সুযোগ পাই নি। জানতে ইচ্ছে করে বাপ্পা মজুমদার এর মুখে শোনা " আকাশ দেখে খাঁচার পাখির উড়ে যাবার ইচ্ছে হতেই পারে" কথাটা সত্য কিনা!চন্দনা মজুমদারও হয়ত একমত ছিলেন," বহুদিনের পোষা পাখি দিল আমায় ফাঁকি।" পোষা পাখি ই যদি হয়ে থাকে তাহলে আবার উড়ে যাবার ইচ্ছেই বা কি করে হয়! অবাক লাগে না! তবে মনে হয় খাঁচায় বন্দী পাখি তো, পোষ না মানা ছাড়া আর কোন পথ ও ছিল না। খাঁচার বাহিরের পোষা পাখিদের কখনো ফাঁকি দিতে শুনিনি। পশুদেরও না। কথা বলা পাখি মানুষের ভাষা শেখে,মানুষের ভাষায় কথা বলে। মানুষ পাখির ভাষা বোঝে না। আমি একবার এক বিড়ালের ছোট বাচ্চা পুষতে চেয়েছিলাম।দুই জনের মিস কমিউনিকেশন আর আমার বেশি কেয়ারিং এর জন্য পরে সেটা আর হয় নাই। পশুদের আবেগ বেশি কিন্ত বিবেক নাই। তবে কিছু প্রাণীর থাকে ঠিক যেমন আমাদের কিছু মানুষের থাকে না। কিশোর কুমার শুনিয়েছেন,"একদিন,পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে,ফিরবে না সে তো আর কারও আকাশে ।"জোর করলে পশু পাখি পোষ মানে, সুযোগ বুঝে কালে ভাদ্রে ফাঁকিও দেয়।কিন্ত মানুষকে কখনো পোষ মানানো যায় না। মানুষ ঐ খাঁচার পাখির মতই। #MIKParadox