মীক’স ব্লক(MIK’s Block)

বলব রাইটার্স ব্লক এর কথা।
রাইটার্স ব্লক এর কথা প্রথম শুনেছিলাম হুমায়ূন আহমেদ এর কোন এক গল্পে। এই ক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য লেখকের কলম থেকে কোন লিখা বের হয়না। অনেক চেষ্টা করেও একবা দুইটা শব্দের বেশি লিখতেই পারে না। ছিঁড়ে মুচড়ে গোল করে ছুঁড়ে ফেলা কাগজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হুমায়ূন আহমেদ ও এই রাইটার্স ব্লক এ পড়েছিলেন।
বাস্তব প্রয়োগ দেখেছিলাম কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া “রয়” ছবিতে। অর্জুন রামপাল ঐ ছবিতে চিত্র পরিচালক থাকে। কাহিনী তো অনেকই আছে ঐসব বাদ দিয়ে যে কথা বলতে চাই সেটা বলি। তো সে একবার এই রাইটার্স ব্লক এর শিকার হয়। তার টাইপ রাইটারে সে ছবির জন্য স্ক্রিপ্ট লিখত। কিন্তু একবার সে আর কিছুই লিখতে পারত না সাময়িক সময়ের জন্য।
আমাদের জীবনে আমরা অনেক আনন্দে থাকি। প্রকৃতি ভালো লাগে। ভালো লাগে মেঘ যুক্ত বা মুক্ত নীল আকাশ,সবুজ গাছ,সব্জি ক্ষেত,পুকুরের নীল পানি,সাদা বালি,পীচ ঢালা সরু পথ। আরো ভালো লাগে যখন সাথে বোনাস হিসেবে থাকে দমকা ঝড়ো বাতাস। আশেপাশে বন্ধু বান্ধব সবার সাথেই মিশতে ভালো লাগে। ভালো লাগে সাঁতার না জেনেও বন্ধুদের সাথে পুকুরে গিয়ে সিঁড়ী পর্যন্ত ডুবাডুবি করতে। ক্লাসে দুষ্টামি করতে ভালো লাগে। ভালো লাগে গান গাইতে। সেই সব কিছুর মাঝেই হঠাৎ কিসের শূন্যস্থান আমাদের একাকীত্বের প্রতীক্ষায় দিন গুনতে বাধ্য করে। তখন একা একা সময় কাটাতে ভালো লাগে। অনেক সময় কাছের মানুষগুলোর সাথে অল্প কিছুতেই মেজাজ চরমে উঠে। ফলস্বরূপ খারাপ ব্যাবহার হয়ে যায়। আসলে এই সময়টায় একা থাকাটাই জরুরী হয়ে পড়ে মনে হয়। কোন কিছুতেই মন বসে না। মনোযোগ আসে না কোন প্রিয় কাজেও। ভাগ্যিস আমি রাইটার না তাহলে রাইটার্স ব্লক এ পরতাম। সাময়িক স্থবিরতাকে উপভোগ করার দিন নিজের অজান্তেই শুরু হয়ে গেছে।
মীক’স ব্লক(MIK’s Block) এ পড়ে গেছি।
©MIKParadox

Comments

Popular posts from this blog

স্মৃতি

মনের আকাশে মেঘ

এত তিতা লাগে কেন?